উমেওতে বাংলাদেশিদের ঈদ উদ্যাপন

সমবেতদের একাংশ
সমবেতদের একাংশ

বাংলাদেশ থেকে আসার আগে সব সময় মনে করতাম, পরিবার–পরিজন ছাড়া কীভাবে ঈদ করব? ভাবতেই নিঃসঙ্গ অনুভব করতাম। কিন্তু আসার পর দেখলাম সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। এখানে আছে ৫০-৬০ জনের এক বড় পরিবার। যে মজা বাংলাদেশে করতাম, এখানে তার চাইতেও বেশি মজা করি। সবার সঙ্গে সবার ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক পরিবেশকে কয়েকগুণ আন্তরিক করে তোলে।

এখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বন্ধন আত্মীয়তা থেকে বহুগুণ। তাইতো আগে যারা উমেওতে থাকতেন, কিন্তু জীবিকার তাগিদে বর্তমানে অন্য শহরে থাকেন, তারাও চলে আসেন উমেওতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে। এই ভালোবাসা পূর্ণতা পায় ঈদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

ঈদের নামাজ শেষে কুশল বিনিময়
ঈদের নামাজ শেষে কুশল বিনিময়

প্রতিবারের মতো এইবারও আমরা একত্রিত হয়েছিলাম ঈদ আনন্দ উদ্‌যাপন করতে। প্রতিটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজনে থাকে এখানকার নিবেদিতপ্রাণ বড় ভাইয়ারা। যারা নিজেদের সময়, শ্রম ও অর্থ দিয়ে চেষ্টা করেন। যেন আমাদের আনন্দের কমতি না হয়। উমেওতে বাংলাদেশি বড় ভাইয়াদের চার–পাঁচটি রেস্টুরেন্ট আছে। তারা চক্রাকারে আমাদের রসনার পরিতৃপ্তির জন্য ব্যবস্থা করে থাকেন।

ভূরিভোজ
ভূরিভোজ

ঈদের মজা কয়েকগুণ বাড়াতে আমাদের পারফরমারদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আমাদের ট্যালেন্ট জানতে নিচের ইউটিউব লিংকই যথেষ্ট।
<www.youtube.com/watch?v=U8 QDmyiNVhQ>
পরিশেষে, বাংলাদেশিদের মধ্যে যে ভালোবাসা দৃষ্টিগোচর হয়, আমি হলফ করে বলতে পারি, তা অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঈদের দিন লেখক ও অন্যান্য
ঈদের দিন লেখক ও অন্যান্য

*এ বি এম ফজলে রাহী: উমেও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন ফাইনান্সে অধ্যয়নরত। উমেও, সুইডেন।