আঙ্কারায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে উত্তীর্ণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেল ৪টায় আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান সবুজ আহমেদ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

অনুষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে উত্তীর্ণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংকর্ধনার পাশাপাশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে ক্রেস্টও উপহার দেওয়া হয়।
১৮ জন শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল্লাহ আল মামুন ও মমিন, সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের দেলোয়ার হোসেন, মিডলইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাশুরা রাফিক মৌমিতা, তৌফিক আহমেদ, সাদিকুর রহমান, কে এম সি ফাতুলাল্লাহ, আফজালুর রাহামান ও মোহাম্মাদ হাসান, হাজেত্তেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের হ‌ুমায়ূন কবির সুমন, নেভশেহির বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাহারুল ইসলাম, আনাদলু বিশ্ববিদ্যালয়ের তাওহিদ হাসান, মঞ্জুর মোরশেদ পাটোয়ারি ও আবদুল্লাহ আল ইমরান, এরজিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের এজাজ কাদরি, রিতুলহাজেত্তেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফাতুল হাসান, কারাদেনিজ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেদি হাসান ইমরান এবং এলাহিবস্ফরাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

এদের মধ্যে মমিন রাজধানী আঙ্কারায় আয়োজিত ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তুরস্কে সেরা ১৫ বিদেশি শিক্ষার্থীর একজন হিসেবে তুর্কি বুরসলারির অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক সরকারের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তোমরা সামনে বসে আমার কথা শুনছ আর আমি একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তোমাদের মাঝে কথা বলছি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ আর বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমেই। আমাদের ছোট এই ভূখণ্ডটি অনেক কষ্টার্জিত। তাই তোমরা নিজ নিজ সেক্টরে যোগ্যতার মাধ্যমে আমাদের ছোট্ট এই বাংলাদেশকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। আর এর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে তোমারাই।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন মোজাহারুল ইসলাম ও হ‌ুমায়ূন কবির সুমন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য