ভিয়েনায় জাতীয় শোক দিবস

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. আবু জাফর
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. আবু জাফর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ভিয়েনার হউফসাইলে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে গতকাল ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাফাত বিন জামান।

বক্তব্য দিচ্ছেন এম নজরুল ইসলাম
বক্তব্য দিচ্ছেন এম নজরুল ইসলাম

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করে প্রথমেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মো. আবু জাফর। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন রাফাত বিন জামান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মালিহা শাহজাহান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্ব ইউরোপিয়ান শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়াপ্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, আওয়ামী লীগের অস্ট্রিয়া শাখার সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি আবদুল জলিল, আকতার হোসেন, রুহী দাস সাহা, এমরান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিল্পী আবুল কালাম, আহাদ চৌধুরী, নুসরাত সুলতানা ও মিজানুর রহমান।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

মো. আবু জাফর তাঁর বক্তব্যে জাতীয় শোক দিবসের এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি আরও বলেন, প্রবাসে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করুন।
এম নজরুল ইসলাম বলেন, মুষ্টিমেয় কাপুরুষের হাতে প্রাণ দিলেও বঙ্গবন্ধু পরাজিত হননি। কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে স্থাপিত করে গেছেন। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সেই পথেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, একদিন বিশ্বসভায় আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। আর বঙ্গবন্ধু আপন ঔজ্জ্বল্যে আমাদের জাতির আকাশে চিরদিন বিরাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বাধীনতা বিষয়ে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল প্রতিযোগীকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী সালমা আহমেদ জাফর।
সভার শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, রাজনৈতিক এবং কর্ম জীবনের ওপর স্থিরচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সংবাদদাতা: আনিসুল হক, ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।