সিঙ্গাপুরে ঈদুল আজহা উদ্যাপন

মসজিদে ঈদের নামাজ
মসজিদে ঈদের নামাজ

সিঙ্গাপুরে আজ ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টায় সিঙ্গাপুরে অধিকাংশ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিছু কিছু মসজিদে বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। সিঙ্গাপুরে স্থানীয় মুসলমানদের ভাষা মালয় এবং মসজিদে খুতবাও হয় মালয় ভাষায়। তা বাংলাদেশিদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তাই কিছু কিছু মসজিদে বাংলাদেশি মুসলমানদের সুবিধার্থে ইংরেজি খুতবার পাশাপাশি বাংলায় খুতবার ব্যবস্থা করা হয়। আর বাঙালি মুসলমানদের জামাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশি ইমামেরা।

ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে সমবেতরা
কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে সমবেতরা

পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদ যদিও কষ্টের তারপরও প্রত্যেক বছরই প্রবাসীদের হাসিমুখে ঈদ উদ্‌যাপন করতে হয়। সারা বছরের জমিয়ে রাখা কান্নার বাধভাঙা স্রোত যেন ঈদের দিন আর কোনো বাবা মানতে চায় না। আত্মীয়-স্বজনেরা অনেকেই ফোন করে জানতে চান, ঈদ কেমন কাটে? কিন্তু তার জবাব প্রবাসীদের জানা নেই।
প্রবাসী ইমরান খান বলেন, ঈদ উৎসব আমার কাছে এখনো খুব আনন্দের একটা ব্যাপার। কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে যাওয়া, গরু কিনে বাড়ি ফেরার যে কী আনন্দ তা বোঝাতে পারব না। এই দিনটাতে কাছের ও দূরের মানুষদের নিয়ে মিলনমেলার সুযোগও হয়। কিন্তু প্রবাসে তা হয় না।
প্রবাসী আকরাম খান বলেন, আমাদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ। এই উৎসবের মাঝেও একধরনের শূন্যতা অনুভব করি। সেই শূন্যতা আর কিছু নয়, প্রিয় মা-বাবা আর ভাইবোনদের কাছে না পাওয়া। তাদের ছাড়া ঈদের উৎসব জমে ওঠে না। তবুও সব মিলিয়ে ভালোই আছি। ভালো তো থাকতেই হবে।

ঈদের নামাজের পর লেখক ও অন্যান্য
ঈদের নামাজের পর লেখক ও অন্যান্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রবাসী বলেন, দেশের বাইরে ঈদ উদ্‌যাপন কতটা মলিন আর ফ্যাকাশে, আমার মনে হয় প্রবাসী সবাই তা বুঝতে পারেন। অন্যরা তা অনুভব করতে পারবেন না।

এম ওমর ফারুকী (শিপন): সিঙ্গাপুরপ্রবাসী।