অস্ট্রেলিয়ায় আবার চালু হতে পারে নাগরিকত্বের নতুন আইন

ছবি: এসবিএস
ছবি: এসবিএস

গত ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সিনেটের ক্রস বেঞ্চে প্রত্যাখ্যাত হয় নাগরিকত্বের প্রস্তাবিত নতুন আইন। এর ফলে বর্তমান আইনেই নাগরিকত্বের আবেদন বিবেচনা করা হচ্ছে। নাগরিকত্বের প্রস্তাবিত নতুন আইন সিনেটে প্রত্যাখ্যাত হলেও অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টার্নবুল সরকার আবারও নতুন করে নাগরিকত্ব আইন চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন বলেন, তিনি সংশোধিত পরিবর্তনের সঙ্গে বিলটি ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন আবার। তিনি আরও বলেন, আমি নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়ার নীতিনিষ্ঠতা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জাতীয় স্বার্থে ক্রস বেঞ্চের সঙ্গে কাজ করে চলেছি এখন। বিলে কিছুটা পরিবর্তন আসছে সেখানে ইংরেজির আইইএলটিএস পরীক্ষায় স্কোর ৬ থেকে ৫-এ কমিয়ে আনা হয়েছে। যা আগামী ১ জুলাই (২০১৮) থেকে বাস্তবায়িত হবে।

অভিবাসনের দেশ হিসেবে খ্যাত অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রধান কারণ দেখিয়ে গত এপ্রিলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদানের আইনে চার বছর স্থায়ীভাবে বসবাস ও আইইএলটিএস পরীক্ষায় ৬ স্কোর করার আবশ্যিক শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের ঘোষণা আসার পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি অভিবাসীরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। ফলে প্রস্তাবিত আইনের বিলটি ক্রস বেঞ্চ ভোট গ্রহণ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। গত ১৮ অক্টোবর ক্রস বেঞ্চে বিলটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাস হয়নি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের আবেদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে আবারও নতুন আইন প্রণয়ন নিয়ে খুদে বার্তা সংযুক্ত করে ইমেইল করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। সেখানে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর সরকারের প্রস্তাবিত আইন সিনেট কর্তৃক রদ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ১ জুলাই (২০১৮) থেকে জমা দেওয়া নাগরিকত্বের সকল আবেদন আবার নতুন আইনের আওতায় বিবেচ্য হবে। অর্থাৎ আগামী ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদানের আইন তারা আবারও হালনাগাদ করতে যাচ্ছে। তবে এর আগ পর্যন্ত করা সকল আবেদনপত্র বর্তমান আইনের আওতাতেই বিবেচ্য হবে। তাই অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসীদের মধ্যে যারা এক বছর স্থায়ীভাবে বসবাসসহ নাগরিকত্ব গ্রহণের অন্যান্য শর্তাবলির পূরণ করেছেন তাদের শিগগিরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।

সূত্র: এসবিএস।