সাইতামা বাংলা সোসাইটির বনভোজন

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

প্রবাসের কর্মময় জীবনে সবাই খুঁজে বেড়ান ছুটির দিনে একটু আনন্দ-বিনোদনের দিনক্ষণ। জাপানে এ রকম এক মাহেন্দ্রক্ষণের আয়োজন করেছিল ওয়ারাবির সাইতামা বাংলা সোসাইটি। সম্প্রতি (৮ অক্টোবর রোববার) জাপানের ইবারাকি প্রিফেকচারের ওআরাই সানবিচে (সমুদ্র সৈকতে) এই সংগঠন আয়োজন করেছিল একটি জমজমাট বনভোজনের।

মোট ১১৭ জন এই বনভোজনে অংশগ্রহণ করেন। দুটি বড় বাস ও দুটি ব্যক্তিগত গাড়িতে নিয়ে তারা সেখানে পৌঁছান। যাত্রা ও ফিরতি পথে বাসের মধ্যে নারী-পুরুষেরা গান-কৌতুক ও চুটকি পরিবেশনের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্লান্তিকে বিন্দুমাত্র অনুভব করতে দেননি। মনে হয়েছে সময়টা নিমেষেই কেটে গেল। নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার পর দুই ঘণ্টা যে যার মতো পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবসহ সমুদ্রের লোনা পানিতে সাঁতার কাটেন। এই দুই ঘণ্টা ছিল সমুদ্রের বিরাট-বিরাট ঢেউয়ের মধ্যে নিজের মধ্যকার ভাবাবেগে হারিয়ে যাওয়ার।

সমুদ্র সৈকতে
সমুদ্র সৈকতে

পাশাপাশি বিচের বালির মধ্যে শুরু হয় বিবাহিত-অবিবাহিতদের মধ্য ফুটবল ম্যাচ। নারীরা স্বামী ও দেবরদের তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনি দিয়ে ম্যাচটিকে আকর্ষণীয় করে তোলেন। অন্যদিকে নারীদের বালিশ খেলা ও হাঁড়ি ভাঙা খেলাতেও স্বামী, দেবর ও তাদের সন্তানেরা সমর্থন যুগিয়ে পরিবেশটাকে বেশ উপভোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। শিশুদের জন্যও ছিল বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক ইভেন্ট। শিশুদের খেলা চলাকালে সবাই তাদের তুমুল করতালি দিয়ে উৎসাহিত করেন। শিশুদের শুভেচ্ছা উপহারসহ প্রত্যেকটি ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।
এরই মধ্যে পেট মহাশয়ের টানে সবাই হাজির হন রহমান ভাইয়ের বিশাল খাবারের আয়োজন স্থলে। তবে তাঁকে সবার কাছে কিছুটা সময় চেয়েই নিতে হয়েছে। কারণ আইটেম ছিল বেশি এবং অনেকটা একক হাতেই রান্না করতে হয়েছে বিফ কারি, মাটন কারি, সবজি, ডাল কারি, ভর্তা, সালাদ ও বাসমতি চালের পোলাও। এ ছাড়া যাত্রাপথে সকালের নাশতায় ছিল চিকেন শর্মা। ফিরতি পথে বিকেলে ছিল সুস্বাদু ভেজিটেবল শিঙারা।

বনভোজনের একটি দৃশ্য
বনভোজনের একটি দৃশ্য

মোটকথা আনন্দের সময় যে নিমেষেই কেটে যায়। তা সেদিন কমবেশি সবাই অনুভব করেছেন। বিদায়বেলায় সুন্দর একটা দিন উপহার দেওয়ার জন্য সবাই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ-বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ রাখেন। সব শেষে আয়োজকেরা অংশগ্রহণকারী সবাইকে তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে জাপানের ছুটির সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ ও জাপানের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী দিবসগুলিতে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

প্রেরক : মো. মহিউদ্দিন মজুমদার: সভাপতি, সাইতামা বাংলা সোসাইটি, ওয়ারাবি, জাপান।