খ্যাতির তেষ্টা

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

টনি মিয়া একজন বিত্তবান মানুষ। সাধারণত তিনি অন্যকে দিতে নয়, অন্যের থেকে সুবিধা নিতে পছন্দ করেন। টুপটাপ মিষ্টি কথার খই ফুটিয়ে সাধারণ মানুষদের আকৃষ্ট করা তার একটি বড় গুণ। সুযোগ পেলেই তিনি তার সেই গুণটির সদ্ব্যবহার করতে কখনো কার্পণ্য করেন না।
একদিন সকালে টনি মিয়া নিজ বাড়ির দেয়ালের বাইরে দাঁড়িয়ে ‘আমার সব গেল, আমার সব নিয়ে গেল ওরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। সকালবেলা তার চিৎকার শুনে পাড়ার অনেকেই সকালের আরাম ঘুম নষ্ট করে কর্তব্য ভেবে বাইরে এসে তাকে ঘিরে দাঁড়ান এবং এত সকালে এমন হইচই করার হেতু জানতে চান।
টনি মিয়া চোখ কচলাতে কচলাতে দুঃখভরা কণ্ঠে সকলকে জানান, রাতে তাদের বাড়িতে চোর এসেছিল এবং তাদের বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি তার চুরি হয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিসগুলোর তালিকা মূল্য সহকারে সকলকে জানিয়ে দেন।
প্রতিবেশীরা সবকিছু শুনে মন খারাপ করেন খুব। তারা তাদের দুঃখ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ টনি মিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে বাড়ি ফিরে যান। আবার কেউ তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু টনি মিয়া থানার পুলিশদের ঘাড়ে কমিশন ব্যবসার বদনাম তুলে দিয়ে, পুলিশের সাহায্য নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
একইভাবে পরপর কয়েক সপ্তাহ টনি মিয়া সপ্তাহে অন্তত একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে একই কাণ্ড ঘটিয়ে তার বাড়ির চুরির খবর সবাইকে জানান। আর প্রতিবেশীরা প্রতিবারই একইভাবে ঘুম থেকে জেগে এসে তার চুরি হয়ে যাওয়া দ্রব্যের তালিকা ও মূল্য শুনে মন খারাপ করে ফিরে যান।
পাড়ায় চোরের যাতায়াত বেড়ে গেছে ভেবে একদিন প্রতিবেশী যুবকেরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে টনি মিয়াকে চোর ধরতে সাহায্য করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে বাড়ির চারপাশে পাড়ার যুবকেরা বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকে। যেন চোর কোনোভাবে পালিয়ে যেতে না পারে। কিন্তু সেদিন আর চোর আসে না। সকালে সবাই চোর না ধরতে পারার ব্যর্থতা ও রাতভর জেগে থাকার দুঃখে চোরকে বকাবকি করে বাড়ি ফিরে যায়। সবাই মনে করে যে চোর ভয় পেয়েছে, সে আর আসবে না।
পরদিন যুবকেরা আর রাতে পাহারায় নামে না। তারা যে যার বাড়িতে ঘুমায়। কিন্তু তার ঠিক পরদিন সকালে আবার তাদের ঘুম ভাঙে টনি মিয়ার হইচই শুনে। তারা আবার জড়ো হয় এবং সকলে দুঃখ প্রকাশ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য।
চোরের বুদ্ধির কাছে হেরে যাচ্ছে ভেবে প্রতিবেশী যুবকেরা কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চোরটিকে আর কোনোভাবেই পালিয়ে যেতে দেওয়া উচিত নয় ভেবে প্ল্যান করতে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে জমায়েত হয় টনি মিয়ার ড্রয়িংরুমে। টনি মিয়ার ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করা মাত্রই সবার চোখ অস্থির হয়ে নেচে নেচে দেখতে থাকে দামি সব আসবাবপত্র এবং মূল্যবান শৌখিন দ্রব্যগুলো।

বিশালাকার ড্রয়িংরুমে মূল্যবান দ্রব্যগুলো দেখতে দেখতে স্থির হয়ে পড়ে তাদের ভাবনাগুলো—একাধিকবার চুরি হওয়ার পরও এত মূল্যবান দ্রব্য অবশিষ্ট থাকলে, চুরির আগে তার ড্রয়িংরুম দেখতে না জানি কেমন ছিল?
যুবকদের একজনের নাম শনি দ্রুতি। সে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না বলেই সবাই জানে। এমনকি সহজ করে কিছু ভাবতেও পারে না সে। নামের সঙ্গে মিল রেখে খুব অল্প সময়েই বিপদ ডেকে আনে। তাই অনেকেই তাকে ভয় পায় ও এড়িয়ে চলে।
সেদিন শনি দ্রুতি টনি মিয়ার বসার ঘরের চারদিকে তাকিয়ে বোদ্ধাদের মতো একটু হালকা মাথা নেড়ে, নিজের থুতনিটিকে বাহুর ওপর শক্ত করে বসিয়ে টনি মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে, মিয়া ভাই বাড়িতে টাকার গাছ লাগাইছেন। চোর তো একটু আধটু আইবই। ফুল ফুটলে মৌর লোভে মৌমাছি কেমন ভনভন আওয়াজ কইরা ছুইট্টা আয়। জানেন না? চোরও তেমন...তয় তারা রাইতে আয়। আওয়াজ ছাড়াই আয়।
টনি মিয়া খুব গর্ব নিয়ে উত্তর দেয়, হ্যাঁ, তা একটু টাকা পয়সা আছে আমার। তবে তা চোরকে দেওয়ার জন্য নয়। আমার বুদ্ধি, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে আমি এই টাকা বানিয়েছি। তা আমি চোরকে দেব কেন? এর হক কেবল আমার স্ত্রী ও সন্তানদের।
শনি দ্রুতি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে খুব ধীরে ধীরে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে, মিয়া ভাই মনে কষ্ট নিয়েন না। আপনার সম্পত্তিতে চোরের অধিকার না থাকলেও মাগার গরিবগো হক আছে কিন্তু। তা ধর্মের কথা কন আর সমাজের নিয়মের কথাই কন। তা যাউগ্গা, আইজ রাইতে আমি চোর ধরমুই। কথা দিলাম।
শনি দ্রুতির এমন আত্মবিশ্বাসী প্রতিশ্রুতি শুনে, যুবকেরা সবাই শনি দ্রুতিকে বাহবা দেয়। এরপর সবাই তাদের রাতের প্ল্যান বুঝে নিয়ে চলে যায় যে যার বাড়ি।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। প্ল্যান অনুসারে বাড়ির চারপাশের বিভিন্ন গাছ, ছাদের পানির ট্যাংক ও দেয়ালের আড়ালে-আবডালে তারা লুকিয়ে পড়ে। শনি দ্রুতি তার অবস্থান নিতে যায় টনি মিয়ার ড্রয়িং রুমে। কিন্তু টনি মিয়া তা মানতে রাজি হন না। তিনি মিষ্টি করে শনি দ্রুতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাড়িতে চোর আসার আগেই বাইরে থেকে চোর ধরতে পারলেই না প্রমাণ হবে তোমাদের দক্ষতা। চোরকে কোনোভাবেই ঘরে আসতে দেওয়া যাবে না, বুঝলে না দ্রুতি বাবু!
শনি দ্রুতি টনি মিয়ার কথায় কোনো আপত্তি না করে সে বাইরে চলে যায়। অন্ধকার ঘন হয়ে উঠলে কাউকে না বলে, এমনকি টনি মিয়াকেও না বলে, সে অবস্থান নেয় টনি মিয়ার শোয়ার ঘরের পেছনের খোলা বারান্দার টেবিলের নিচে। কান পেতে বসে থাকে চোরের পায়ের আওয়াজের আশায়।
রাত প্রায় শেষ, কিন্তু চোর আসেনি। আজানের ধ্বনিতে প্রকৃতির নীরবতা ভেঙে দিনের শুরু হয়ে যায়। সবাই সারা রাত না ঘুমানোর বেদনায় যে যার মতো রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। সেদিনও কেন চোর আসেনি, তা নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু শনি দ্রুতি সাহস করে ভোরের আলোতেও ঘাপটি মেরে বসে থাকে সেখানে। কিছুক্ষণ পর ফিসফিস করে বলা টনি মিয়ার কথা শুনতে পায় সে—পড়শিরা যেভাবে পাহারা দিয়েছে! আজ আর চোর আসার সুযোগ পায়নি গিন্নি। কি বলো?
টনি মিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিতে তার স্ত্রী বলে, এবার বন্ধ করো তোমার নাটক! এভাবে সবাইকে বোকা বানানোর দরকারই বা কি ছিল?
—দরকার ছিল গিন্নি। এর দরকার ছিল। দেখো আমার এত অর্থ, সম্পদ অথচ কেউ তা নিয়ে কথা বলে না। আমাকে দেখলে কেবল একটা সালাম দেয়, যা তারা সবাইকেই দেয়। আমি যে একজন এলাকার পুরোনো বিত্তবান সে জন্য কেউ আলাদা করে সম্মান দেখানোর প্রয়োজন বোধ করে না। তাই এ সব করা। সময় একটু বেশি নিয়ে হলেও প্রতিবেশীরা জানে এখনো পর্যন্ত আমার প্রকৃত অর্থ ও বিত্ত নতুন গজিয়ে ওঠা বিত্তবানদের থেকে অনেক বেশি। দেখবে সবার মুখে এখন আমার নাম থাকবে। তারা এখন তোমাকে, আমাকে, আমাদের বাড়ির সবাইকে দেখলেই কেমন সম্মান দেখাবে। আর একদল? যারা হঠাৎ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়ে খিলখিলিয়ে হাসে, হিংসায় জ্বলে মরবে তারা। আমি তো সেটাই চেয়েছিলাম। কথা দিচ্ছি, আজ থেকে পাতানো চোরের খেলা বন্ধ। টনি মিয়া এমনভাবে উত্তরগুলো ছুড়ে দেয় যেন সে এমন প্রশ্নের জন্যই অপেক্ষা করছিল।
শনি শ্রুতি চেয়ারের নিচ থেকে বেরিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে বাড়ির সামনের দরজায় আসে। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির কাজের ছেলেকে হুকুম করে, তোমার কর্তা বাবুকে ডেকে দাও।
টনি মিয়া ঘরের বাইরে এসে দেখে শনি দ্রুতি একা চোখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে। টনি মিয়া খুব মিষ্টি করে প্রশ্ন করে, আরে শনি দ্রুতি একা যে! অন্যরা কোথায়? তারা কি সবাই তোমাকে রেখে রাত পোহাবার আগেই চলে গেল?
—চোর তো আইজও আইল না মিয়া ভাই! আইজ রাইতেও না হয় পাহারা বসবে। কি বলেন? প্রশ্ন করে শনি দ্রুতি।
—এর কি আর দরকার আছে? শুধু শুধু রাতের ঘুম নষ্ট করছ তোমরা। দেখো গিয়ে, ইতিমধ্যে চোর জেনে গেছে তোমরা আমাকে কতটা যত্ন করো। সে মনে হয় আর আসবে না। নিজের মত প্রকাশ করে টনি মিয়া।
—আচ্ছা, আপনি যা ভালো মনে করেন। বলেই মাথা নিচু করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় শনি দ্রুতি।
বিষয়টি ভালো লাগেনি টনি মিয়ার। সে পেছন থেকে ডাকে শনি দ্রুতিকে—দ্রুতি বাবু, তোমার কি মন খারাপ হলো? বলছিলাম, তোমরা কষ্ট করছ, অথচ চোর আসছে না।
শনি দ্রুতি আর পেছনে ফিরে তাকায় না। শুধু বলে, আইজ রাইতে না হয় শেষ আর একবার চেষ্টা করে দেখতাম।
টনি মিয়া বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলে, এত করে যখন বলছ, তবে আজ রাতে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করো। তোমাদের ভালোবাসা বলে কথা। তা ফিরিয়ে দিই কি করে?
—আচ্ছা, ঠিক আছে। রাইতে দেখা হইবে। কথাগুলো বলেই শনি দ্রুতি বাড়ি চলে যায়। গোসল সেরে ঘুমাতে চেষ্টা করে সে। কিন্তু তার ঘুম আসে না। সে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে বের হয়।
সন্ধ্যা শেষেই শনি দ্রুতি তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে অবস্থান নেয় টনি মিয়ার বাড়ির দেয়ালের ভেতরের চারপাশে। এরপর প্ল্যান অনুযায়ী সবাই যে যার স্থানে অবস্থান নেয়। শনি দ্রুতি টনি মিয়াকে ডেকে বলে, মিয়া ভাই নিশ্চিন্তে ঘুমান আইজ। আমরা বাইরে আছি। আইজ রাইতে চোর আর যাইতে পারবে না।
টনি মিয়া তার মিষ্টি কথায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং তাদের কর্মের প্রশংসা করে নিজে চলে যায় ভেতরে। বাড়ির মূল দরজা বন্ধ করার হুকুম করে কাজের ছেলেকে। কিন্তু শনি দ্রুতি পানি চেয়ে কাজের ছেলেকে বাইরে ডাকে। কিছুক্ষণ পর কাজের ছেলেও বাড়ির দরজা বন্ধ করে চলে যায় ভেতরে। রাত গভীর হয়। এক সময় আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বাড়ির সবাই। কিন্তু বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে ঢুকে পড়া শনি দ্রুতিদের বন্ধু নীরবে দরজা খুলে দেয়। শনি দ্রুতি খুব দ্রুতবেগে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। সাজিয়ে রাখা মূল্যবান কিছু দ্রব্য ব্যাগ ভরে সঙ্গীকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সে প্রবেশ করে অন্য আরেক ঘরে। সেখান থেকেও কিছু মূল্যবান বস্তু নিয়ে সে বাইরে বেরিয়ে আসে। সকাল হওয়ার আগেই তারা যে যার বাড়ি চলে যায়।
টনি মিয়া একটু বেলা করেই ঘুম থেকে জাগেন সেদিন। সকালের নাশতা খেয়ে অফিসের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ড্রয়িংরুমে যান। সবকিছু কেমন ফাঁকা মনে হয় তার। তাদের মূল্যবান শৌখিন দ্রব্যগুলোর অনেক কিছুই শোকেসের তাকে নেই। তিনি তার স্ত্রীকে ডাকেন। দেখো কেমন সর্বনাশ হয়েছে আমাদের। বাড়িতে সত্যিই চোর এসেছিল আজ। বলতে বলতে তিনি বাড়ির দেয়ালের বাইরে আসেন। সেদিন আগের মতো করে নয়, প্রকৃত দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে চিৎকার করে বলেন, আমার সব গেল। আমার সব নিয়ে গেল ওরা।
কিন্তু সেদিন প্রতিবেশী কেউ আর আজ আসে না তাকে সান্ত্বনা দিতে। কিছুক্ষণ পর তার মেয়ে এসে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। মেয়ে বাবাকে সান্ত্বনা দেয়। সাধারণ জীবনেও এক প্রকার প্রশান্তি আছে তা বর্ণনা করার চেষ্টা করে। সবকিছু ভুলে স্বাভাবিক জীবনের পরামর্শ দেয়। টনি মিয়া বাড়িতে পুলিশ ডেকে চুরির তথ্য দেয়।
সন্ধ্যায় টনি মিয়ার বাড়িতে আবার পুলিশ আসে। তারা জানায় গতরাতে তার বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সবকিছুই পাওয়া গেছে। সেগুলো সময় মতো তারা বাড়ি পৌঁছে দেবে। তবে নিজের খ্যাতির তেষ্টায় মিথ্যা চুরির নাটক বানিয়ে প্রতিদিন ভোরে নিরীহ মানুষদের ঘুম ভাঙিয়ে তাদের শান্তিভঙ্গ করার অপরাধে টনি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় তারা।
তখন তার বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে প্রতিবেশী একদল যুবক। তাদের একজন পেছন ঘুরে শুদ্ধ ভাষায় বলে, মিয়া ভাই, স্বেচ্ছায় শনি দ্রুতি সার্ভিস দিয়েছি বলে অপরাধ নিয়েন না। কারও তেষ্টা পেলে আমি তাকে জল এগিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি। সেই বোধ থেকে আমি কেবল আমার কাজটি করেছি। আপনার খ্যাতির তেষ্টা পেয়েছিল। তা মিটিয়ে দিচ্ছি। কাল খবরের কাগজে নিশ্চিত থাকবে আপনার নাম। আমি শনি দ্রুতি কথা দিলাম।

খুরশীদ শাম্মী: টরন্টো, অন্টারিও, কানাডা।