সিডনিতে বাংলাদেশ উৎসব

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি নগরীর ব্যাংকসটাউনের পল কেটিং পার্কে গতকাল শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ উৎসব। এনটিভি অস্ট্রেলিয়া এই উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের পাশাপাশি রাজ্য মন্ত্রী, এমপি, মেয়র থেকে শুরু করে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ও বাংলাদেশ আগত শিল্পীদের পরিবেশনা উৎসবের আলোকছটাকে করেছে বিস্তৃত।

অনুষ্ঠান শুরু হয় এনটিভি পরিবারের গল্প দিয়ে। এক প্রামাণ্যচিত্রে কীভাবে এনটিভি ১৫ বছর ধরে সংবাদ আর বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে যাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। এরপর কোরআন থেকে তিলাওয়াত করে শিশু তাসফির। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর জাহাঙ্গীর হাবিব, এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক রিলেশনস অফিসার সাইমুম সারোয়ার, আমরা বাংলাদেশির সংগঠক ও চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শিবলী আবদুল্লাহ, হেড অব এনটিভি অনলাইন ফকরউদ্দীন জুয়েল। উপস্থাপনা করেন এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি আরিফুর রহমান ও স্থানীয় সংগীতশিল্পী তমা।
উৎসবের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের সেই ধারণকৃত বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়। এরপর নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সহকারী যোগাযোগমন্ত্রী মার্ক জোসেফ কোর এমপি বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী রুমেন কর্মকার। নৃত্যনাট্য ও দেশি সংগীতের সুর ও তালে ওপর নাচ পরিবেশন করে দর্শক মাতিয়ে তোলে স্থানীয় শিশু শিল্পীরা। সুমাইয়া, নাবিলা একক সংগীতের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মধ্যে কিছুটা উচ্ছ্বাস ছড়ায়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তমাও গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের। এরপর ছিল প্রবাসী বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলীয় মডেলদের ফ্যাশন শো। নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোমের দেশীয় গানের পরিবেশনায় দর্শক মোহিত হন।
এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার সিইও রাশেদ শ্রাবণ শুভেচ্ছা বক্তব্য দর্শকদের পড়ে শোনান।
এরপর মঞ্চে আসেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধি টনি বার্কে এমপি, গ্লেন ব্রোক্স এমপি, ব্যাংকসটাউন সিটির ডেপুটি মেয়র, কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু, কেন্টাবুরির সাবেক ডেপুটি মেয়র কার্ল সালহেসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় আয়োজন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি যে কতটা সমৃদ্ধ এই আয়োজনই তা প্রমাণ করে।
স্থানীয় ব্যান্ড স্পর্শ-এর গান দর্শকদের আনন্দিত করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী সাঈদ ও ক্লোজআপ তারকা রন্টি দাশ মঞ্চ মাতান। উৎসব পরিপূর্ণতা পায় এই দুই শিল্পীর পরিবেশনায়।
মেলার চারপাশে চটপটি, ফুচকা, দেশীয় শাড়ি-পোশাক, গয়নায় বাহারি সাজে সেজেছিল স্টলগুলো। মেলাতে এসে অনেকে দেশীয় পণ্য কেনাকাটা করেন। তবে চটপটি-ফুচকার দোকানে ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞপ্তি