কার্তিক মাসের সন্ধ্যায়

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

সুন্দর গানগুলো, প্রিয় গান, কার্তিকের এক সন্ধ্যায় 

বাংলার জারি, শারি, বাউল আর পালাগান উজাড় করা গলায়
শেওলাগুলো পাশের নরম নদীর চঞ্চল পানিতে নাচে মুচকি হেসে
প্রত্যেকের একই সুর, মন মাতানো, আহা মন মাতানো সুর-হ্যাঁ,
কার্তিকের কুয়াশাচ্ছন্ন আহ্লাদে ভরা এক নিবিড় জোছনা-সন্ধ্যায়।

জ্ঞানালোক জোনাকিরা উজ্জ্বল তারা হয়ে এখানে ওখান চোখের পাতায়
কঙ্কণ হাতে ঝুমুর পায়ে কার্তিকে গ্রামের রাঙা-মেঠো পথ, আর
কিশোরীর কঙ্কণ পরা হাত। মাতাল এলোমেলো মৃদু হওয়া, ঘ্রাণ বাতাসে
মৃদু হাওয়াগুলো এলোমেলো, রুপালি চাঁদ আকাশে, অনেকটাই কবিতার মতো
পুরো পৃথিবীটা বাংলাদেশের মতো সাবলীল ভাষায়;
নিবিড় এই সন্ধ্যায় লাল গোলাপ নয়, কার্তিকের মতো রজনীগন্ধা দাঁড়ায়।

হেমন্তকালীন তারা, শান্ত কুয়াশা স্নিগ্ধ গাছের নিচে জোনাকি ভরা সন্ধ্যা
হাঁটু গেড়ে সাগর যখন এসে বসে, সাগর অধীর অপেক্ষায় থেমে যায়
সাগর কত শান্ত আর নিবিড় হয়ে দাঁড়ায় মাতাল করা কার্তিকের সন্ধ্যায়;
দুর্বা ঘাস-কার্পেট, খোদাই করা বৃষ্টি-রাত, যখন পাখিরা নীড়ে ফেরে
অজস্র দেয়াল ডিঙিয়ে সুরেলা রজনীগন্ধা আর বাংলার গান বেরিয়ে আসে
আকাশটা আহ্লাদে নিবিড়ে চলে আসে, পাখিগুলো মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

নিখুঁত, কখনো জোছনার আলোয়, আহ্লাদের ভরা কুয়াশাচ্ছন্ন সন্ধ্যায়
জোনাকিতে ভরে গেছে সারা মাঠ, কার্তিকের সোনালি রঙের ধান ভরা মাঠ
আর চুপে চুপে শিয়রে আহ্লাদে দাঁড়িয়ে আছে কার্তিকের চাঁদ
পৃথিবীটা যেন সেজেছে আজ বাংলাদেশের কার্তিক মাসের সন্ধ্যায়।

শহীদ শতাব্দী: যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।