বিষাদী

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

ইদানীং আর কবিতা পড়ি না, তোমাকেই পড়ি।

তোমার পিছু নিতে; ছাদে, বারান্দাতে ঘুরি।
আমাকে দেখতে পাও না; সে আমি জানি!
তবে টের পাও ভারী কারও অস্তিত্ব; অনুসরণরত,
নিঃশব্দ ছায়ার মতো দৃষ্টি নিবন্ধ, অভীষ্ট গন্তব্য।
শেষ বিকেলের রোদ ঢলে পড়তেই তুমি ম্লান!
উদ্যম ম্রিয়মাণ। ছায়াটি মিলিয়ে যেতে থাকছে ছায়ায়
সন্ধ্যার বারান্দায়...

উদাস...গ্রিল ধরে রাখা হাত, ধ্যানরত বিষাদ,
স্কন্ধ-ভাঁজ থেকে ছুটে আসা অধীর ঘাম তরণী,
বাসনা-নদীমুখী তরঙ্গে, মধ্য খাঁজ বেয়ে
ঋজুরেখাতে।

অদূরে সারি সারি; মন খারাপের বাড়ি,
নারকেল পাতারাও সবে; নিয়েছে যেন আড়ি।
ঝাঁকড়া চুলের দুলুনি নেই, শব্দের প্রগল্‌ভতা নেই,
যা কিছু বলবার ইচ্ছে, নৈঃশব্দ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে
মৌনতার ভাষায়।

একরাশ কাশ ছড়ানো বাতাস, পালক নরম আঁশ; ছড়িয়ে দিতে থেকে,
খুব কাছের কারও মতো মমত্বে, বারংবার জিজ্ঞাসিছে, ‘কি হয়েছে?’
নিরুত্তর জানলার কাচ! উত্তর ভুলে গেছে কেন আজ?
হতাশা অভিমান ভুলে, দল বেঁধে মেতে আছে
হাসি আর তামাশাতে।

অদৃশ্য মুখের বাঁ পাশ। বাঁকা নরম হাড়; ডান কানের লতিটিকে খামচে ধরে আছে।
তখনো তোমার চুল উড়ছে, মন উড়ছে, চোখ দেখছে ছবি। হয়তো আমার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছ
তোমার উদাসী মন, নয়তো আমিই তোমার কাছে সবই।
মনোময় মত্ত তুমি-আমি, আর আমাদের দুজনার মন
অভূতপূর্ব এক মনের খেলায়।

নিবেদিতা পুণ্যি সঞ্চারিণী: সৌদি আরবের দাম্মামপ্রবাসী।