পোল্যান্ডে বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব
পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের এমন এক দেশ যেখানে বাংলাদেশিদের পরিচয় উদ্যোক্তা ও চাকরিদাতা হিসেবে। এখানে সহজেই এবং অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার সুবিধা থাকায় বাংলাদেশিদের জন্য একটি আদর্শ দেশ হয়ে উঠছে পোল্যান্ড। যদিও এখানের অধিকাংশ বাংলাদেশিদেরই পোলিশ স্ত্রী আছে কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশি পরিবারের সংখ্যাও বাড়ছে। এই বাঙালি ভাবিদেরই একাংশের প্রচেষ্টা ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের কৃষ্টির অন্যতম প্রধান উৎসব তথা পিঠা উৎসবের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানী ওয়ারশের বাঙালি মালিকানাধীন গ্রিল ইন রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যা ৬টায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ারশ ও এর আশপাশের অনেক শহর থেকেই ভাবিরা হরেক রকমের পিঠা নিয়ে আসেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভাপা, পাটিসাপটা, চিতই পিঠা, লবঙ্গলতিকা, তেলের পিঠা, রস মঞ্জুরি, রসমালাই ছাড়াও হরেক রকম মিষ্টি এবং পোলিশ ভাবিদের তৈরি হরেক রকম কেক। মূল আয়োজনে ছিলেন বাঙালি ভাবিরা। তবে তাদের মধ্যে তানিয়া, রোমানা, তাসনুভা, সীমা, শিউলি, মিম, মারিয়া ও রেনেটা ভাবির নাম উল্লেখ্যযোগ্য।
উৎসবে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে করেছেন আরও প্রাণবন্ত। এ ছাড়া পোল্যান্ডে বাংলাদেশে অনারারি কনস্যুলার ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন তানিয়া আফরিন। পোলিশ ভাষায় অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য তুলে ধরেন রোজ। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কাচ্চি বিরিয়ানি। উৎসবে শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানের শোভা বৃদ্ধি করেছে অনেকাংশেই।
এ উৎসবের লক্ষ্য ছিল মূলত পোল্যান্ডে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পোলিশ পরিবারের কাছে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং বাঙালি কমিউনিটিকে একাত্ম করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই একবাক্য স্বীকার করলেন এই অনুষ্ঠান তার লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছে। এ ছাড়া তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সকলে মিলিত হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মো. মাহবুবুর রহমান: ওয়ারশ, পোল্যান্ড।