বড় বেদনায় বাজে হৃদয়ে

টরন্টোর মেট্রো ট্রেন
টরন্টোর মেট্রো ট্রেন

দূর থেকে প্রবাস জীবনকে ইউটোপিয়াই মনে হয়। প্রকৃত অর্থে অভিবাসী জীবন হলো মূলসুদ্ধ একটি বিশাল বড় গাছকে নতুন একটি জমিনে পুতে দেওয়া। যে গাছটি ডালপালা মেলে ফুলে ফলে তার শোভা ছড়িয়েছিল, ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে ভরিয়ে রেখেছিল গৃহস্থের আঙিনা; যার ছায়ায় বেড়ে উঠেছিল আরও অনেক ছোট-বড় নাম না জানা গাছ; যাদের সঙ্গে ওর আজন্মের মিতালি। সেই সব স্মৃতিবিজড়িত বেদনাবহুল জীবনের সব জঞ্জাল চেনা জগতে কবর দিয়ে পৃথিবীর অপর প্রান্তে এক বৈরী জল-হাওয়ায়, বৈরী সংস্কৃতির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তের লড়াই দিয়ে শুরু করতে হয় শূন্য থেকে। একটু একটু করে নিজের ভেতরে তৈরি করতে হয় স্নায়বিক অ্যান্টিবডি। আর এই অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে অভিবাসিত দেশের সামগ্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণের নিরাপত্তা বিধান ও আইনের শাসন; যেখান থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক। আজ তেমনই এক গল্প নিয়ে এসেছি।

২০১৫ সালের নভেম্বরের হাড় কাঁপানো শীতের বৃষ্টিমুখর মেঘলা এক সকালে আমায় যেতে হয়েছিল একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতে। কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। এমনিতে (বিশেষ কোনো কারণ ব্যতিরেকে) এসব দেশে আমাদের মতো স্কুলে-কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে নামতে হয় না ছেলেমেয়েদের। যেহেতু আমার বিগত জীবনের কোনো পরীক্ষাতেই আমি আন্তর্জাতিক ভাষায় (ইংরেজি) পাস দিই নাই সেহেতু আমাকে সেই ইংরেজি বিদ্যার পারদর্শিতা প্রমাণের লক্ষ্যেই বসতে হয়েছিল পরীক্ষায়। সে যাই হোক। গল্পের বিষয়বস্তু সেটি নয়, এবার যাচ্ছি মূল গল্পে।
পরীক্ষাস্থলটি আমার বাসা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের জার্নি। প্রথমে বাস তারপরে ট্রেন। এরপরে আবার বাস। বাস থেকে নেমে মিনিট পাঁচেক হাঁটা পথ। যদিও এটি দুশ্চিন্তা করার মতো তেমন কোনো ব্যাপারই নয়। তথাপিও রাস্তাটি নতুন, আগে কখনো যাওয়া হয়নি বলে ভেতরে একটা টেনশন ছিল। সময়মতো গিয়ে পৌঁছাতে পারব কিনা, দেরি হলে নিজের পাঙ্কচুয়ালিটি নিয়ে নিজেই বিব্রত হব কিনা এই সব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল আর কি। আকাশখানা সকাল থেকেই কেমন হাঁড়িমুখো হয়ে বসে আছে। মাঝেসাঝে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দেও বুকের কাঁপন বাড়ছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি এক্ষুনি নামবে আকাশের দুকূল ভেঙে। অতএব ছাতাখানা বাড়তি সঙ্গী হয়ে কাঁধের ওজন বাড়াবে সেটা ভেবেই ঘাড়ের ব্যথা শুরু হয়ে গেল। এমনিতেই আগের রাতে সাতপাঁচ ভেবে দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। এ আমার আজন্মের দোষ! পরীক্ষা থাকলেই হলো, খাওয়া-ঘুম সব শিকেয় উঠে যায়। সকালবেলা খালি মুখে বের হলে অমঙ্গল; তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোনোরকমে কিছু একটা মুখে দিয়ে দুগগা দুগগা করে বের হলাম।
আমার বিল্ডিঙের লবিটা পার হলেই বাস স্টপ। দেখেশুনে এমনই একটা বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম যাতে গাড়িবিহীন জীবনযন্ত্রণা কিঞ্চিৎ কম পোহাতে হয়। বাসার তিন ধারেই মেইন রাস্তা। সব রুটে ২৪ ঘণ্টাই বাস চলাচল করে। চার থেকে দশ মিনিট দাঁড়ালেই একটা হিল্লে হয়ে যায়। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আর কোনো ভাবনা থাকে না। টরন্টো শহরের এই পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধা আমাদের মতো নতুন অভিবাসীদের জন্য সত্যিই একটি বাড়তি পাওনা! আমার সেদিনের রুটের বাস প্রতি চার মিনিট অন্তর অন্তর। বাসা থেকে বেরিয়েই বাসটা পেয়ে গেলাম। আহ কী শান্তি! মনে হয় পৌঁছে যাব সময়ের আগেই। বাস থেকে নেমে কানেকটিং ট্রেন। সেটিও পেয়ে গেলাম যথাসময়ে। মেজাজটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। এই ‘ঝামেলা বেগমের’ জীবন এত ঝামেলামুক্ত! ম্যাজিকের মতো সবকিছুই হয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষেই! ইতিবাচক ভাবনার ফলাফলও ইতিবাচক হয়, ভাবছি এ যাত্রা ভর্তি হয়ে যেতে পারব বিনা বাধায় এখানকার কলেজে!
যে ট্রেনটিতে চড়ে বসেছিলাম সেটির ১২টি স্টপ পার হয়েই নামতে হবে আমায়। আটটি স্টপ পেরোতে না পেরোতেই মাইক্রোফোনে ঘোষণা ভেসে এল—We are not going to our destination, for emergency medical reason. We are requesting all passengers to get off to next station. We are asking apologies for our inconvenience! অর্থাৎ, অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ট্রেনের জন্য। আচমকা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল যেন। হায় হায় এখন কি হবে? এতক্ষণের সেই ফুরফুরে মেজাজটা মুহূর্তেই দুমড়ে মুচড়ে খিচখিচা হয়ে গেল। ট্রেনের জন্য অপেক্ষার থেকে বড় যন্ত্রণা হলো পিক আওয়ারে ঠাসাঠাসি যাত্রীর ঘনত্ব।
সেদিন সকালের ট্রেনে যেন একযোগে টরন্টো শহরের সকল বাসিন্দারা চড়ে বসেছিল সঙ্গে নিয়ে বাড়তি আমন্ত্রিত অতিথি। বসা তো দূরে থাক ট্রেনের যাত্রীরা ঝুড়িভর্তি মুরগির মতো একের পিঠে এক কোনোমতে ঝিম মেরে পাটা রেখে দাঁড়িয়েছিল। মনে হচ্ছিল গতরাতে ক্রিকেট খেলা দেখে সকলেই দেরি করে উঠেছে সকালে। আর সকলেই আমার মতো পরীক্ষার হলে ছুটছে একই ট্রেনে। এমন ভর্তি বোঝাই ট্রেনের সবাইকে যখন মাঝপথে নেমে যেতে হলো, তখন সেই স্টপেজের ভিড় হয়ে গিয়েছিল একাত্তরের রেসকোর্সের ময়দান। সকলেই যেন সেদিনের মতো প্রবল উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন সে মুহূর্তের ত্রাতা পরবর্তী ট্রেনের। আশপাশের সকলেই মুঠোফোনের বাটন টেপাটিপিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বিষণ্ন বদনে। অফিসের কর্তাকে আগেভাগেই জানানো চাই তো দেরিতে পৌঁছানোর কারণ! কিন্তু আমি কি করে পৌঁছাই সে খবর? আমার কর্তার নম্বর তো নেই আমার কাছে!

লেখিকা
লেখিকা

বিপরীত দিকে তাকিয়ে চোখ ক্লান্ত হওয়ার আগেই চলে এল কাঙ্ক্ষিত সেই ট্রেন। সেটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথের বর্ষার কবিতাটি মনে পড়ে গেল। আমিও উচ্চারণ করে ফেললাম—‘ওগো আজ তোরা যাসনে কেহ ট্রেনের ভেতরে, ওর বুকে আজ তিল ধারণের ঠাঁই নাহিরে...।’ কিন্তু আমায় তো যেতেই হবে। সময় তো বহিয়াই চলিয়াছে। আমার সাক্ষাৎদাতা দেরিতে পৌঁছানোর কারণ জেনে মোটেও খুশি হবেন না বরং দেরি দেখে কিছু নম্বর কমিয়ে দেবেন ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড’ বলে। তাই আর দেরি নয়। তৎক্ষণাৎ দেশীয় কায়দায় হাত দুখানা বুকে বেঁধে জোরে একটা ধাক্কা মেরে ভিড় ঠেলে শরীরখানা আপাতত ঢুকিয়ে দিলাম ট্রেনের পেটে। তারপর, যা হয় হবে। রাখে হরি, মারে কে?
শুধু ঢুকে পড়াই ছিল আমার কাজ, আর দাঁড়িয়ে থাকা নিজের শরীরের ভার সামলে নিয়ে। বাকি কাজ আমার পেছনে যারা ঢুকবেন তারাই করবেন। সেদিন আমার গুলিস্তানের বাসের কথা মনে পড়েছিল খুব। ছাত্রত্বকালে কিংবা তার পরবর্তী জীবনেও অনেক দিন ঢাকা শহরে বাসে চড়ার স্মৃতিগুলো জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠেছিল চোখের সামনে। কতটা সন্তর্পণে চলতে হতো, নিজের কোন কোন সম্পদ বাঁচানোর চিন্তা করতে হতো সেসব কথাই ভাবছিলাম ঘোরের মধ্যে। তখন একবারও যে মনে হয়নি, আমার হাতব্যাগ, সেল ফোন, হাত ব্যাগে রক্ষিত টাকা-পয়সারা নিরাপদে আছে তো? আমি নিজেই এই ভিড়ের মধ্যে নিরাপদ তো (!) তা কিন্তু নয়; কিন্তু আমার আশঙ্কাদের মিথ্যে করে দিয়ে কী অদ্ভুতভাবে নির্বিঘ্নেই আমি চলে গেলাম আমার গন্তব্যে। কোনো একটি হাতও অন্ধকারের ফাঁক গলিয়ে আমার বুকের কাছে, ঊরুর কাছে নিশপিশ করল না! কী আশ্চর্যভাবে আমি দেখলাম কেউ তার চোখ দিয়ে আমাকে চেটেপুটে গিলে খেয়ে ফেলল না যা আমাকে নারী হয়ে জন্মানোর দায়ে অনুতপ্ত করে। নিজের শরীরই নিজের শত্রু এ কথা মনে করিয়ে দেয়, কিংবা আমার কানের আশপাশে নানারকম ভঙ্গিমায় ‘মাল’টা খাসা বলে কোনোরূপ ইঙ্গিতও কেউ করল না। একবারও আমার মনে হয়নি যে আমায় কিছুটা বাড়তি কাপড়ে বেরোনো উচিত। নইলে নিজের মূল্যবান সামগ্রীর মতো বেহাত হয়ে যেতে পারে আমার যত্নে লালিত নিজেরই শরীর-সম্ভ্রম!
অথচ, সেই ট্রেনে অনেক সুন্দরী-তরুণী-বয়স্কা-বৃদ্ধাও ছিলেন, ছিলেন স্বল্পবসনা, হিজাবি, স্টাইলিস্ট, আবার পূর্ণ মুসল্লি নারীও। ছিলেন নানা রঙের, নানা জাতের-ধর্ম বিশ্বাসের নারী-পুরুষ যাত্রী। আমি যেখানটায় দাঁড়িয়েছিলাম, আমার ডানেবামে চারধারেই আমি পরিবেষ্টিত ছিলাম একদল পুরুষ-ছেলে দ্বারা। ট্রেন যখন ভিন্ন ভিন্ন স্টপেজে থামছিল, তখন কেউ কেউ একটু হেলে-ঝুঁকে পড়ছিলেন ট্রেনের স্বাভাবিক গতি রোহিতের ফলেই, স্বল্প শরীরের স্পর্শও পাচ্ছিলাম কখনো সখনো। আর বারবারই কানে ভেসে আসছিল কেবল একটি শব্দ ‘এক্ট্রেমলি সরি, আই ডিডন’ট মিন টু’! আমি জানি, দে ডিডন’ট মিন টু!
খুব সংগত কারণেই পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি কী বানিয়ে বানিয়ে এসব গল্প লিখছি? এসব কি আদৌ সম্ভব? নাকি এই দেশের সব পুরুষ, যুবা, কিশোর বিকারগ্রস্ত? নাকি ওদের সঠিক সময়ে বয়ঃবৃদ্ধি ঘটেনি? ওরা কি অস্বাভাবিক নাকি ধর্মযাজক? নাকি নপুংসক? ওরা কি ফেরেশতা নাকি দেবতা? কেন তবে নারীর শরীর দেখেও ওদের জিভে জল আসে না? নারীর শরীরের এমন উত্তাল মাংসের গন্ধেও ওরা মাতাল হয় না? এসবের কোনোটাই নয়, ওরাও আমাদের মতো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ। ওদেরও আছে ধর্ষকদের মতো ক্ষুধা-তৃষ্ণা-কাম বাসনা। ভিন্নতা শুধু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়।
এ দেশের সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে; যা একটি দেশের শাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এখানে সেক্স ওপেন এবং অবশ্যই মিউচুয়াল। নট ফ্রি অ্যান্ড ফোর্সড। কেউ চাইলেই যাকে তাকে জোর করতে পারে না। জোর করলে কল টু ৯১১; দশ মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসবে এবং যথারীতি হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে নিয়ে যাবে। পুলিশ নিজেই কেস ফাইল করবে; তারপরে মামলা চলবে যথানিয়মে। টিজ, হয়রানি, অশ্লীল উক্তি কিংবা যৌন হয়রানি প্রত্যেকটির জন্য আলাদা পেনাল কোড ও বিচারের বিধান রয়েছে। আর মামলা মিটে গেলেও সারা জীবনের অর্জনে লাল দাগ পড়ে পুলিশের খাতায়, যাকে ‘পুলিশ রেকর্ড’ নামেই চেনে এরা। যা খতিয়ে দেখা হয় চাকরির সময়ে। এই কলঙ্কের কালিমা দামি কোনো ইরেজার দিয়েও মুছে ফেলা যায় না এই জীবনে আর। সারা জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ অর্জনকে খাটো করে দেয় এই পুলিশ রেকর্ড। চাকরি, প্রোমোশন, নাগরিকত্ব ও জাতীয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে থেমে যায় জীবনের গতি। এটি আমাদের দেশের চারিত্রিক সনদপত্রের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখানে এটি মামু-খালুর জোরে জোটে না, ব্যক্তির কর্মগুণেই জোটে।
বলতে দ্বিধা নেই, যে দেশে জন্মেও আমি দিতে পারিনি নিজের নিরাপত্তা, ৪৫ বছরের জীবনে কেবল আড়ষ্ট হয়েই ঢেকে রেখেছি নিজের অনাহূত শরীর! মানুষের আবরণে নয়, নারী হয়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি পুরুষের লোভ আর লোলুপ দৃষ্টির আড়ালে। নিজের কন্যার নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা আর অনভিপ্রেত কষ্ট আমায় ঘিরে রেখেছিল দুঃস্বপ্নের অনেকগুলো বছর। সে দেশ আমার তো বটেই; সেটাই আমার শেকড়। তবে বড় লজ্জার! বড় কষ্টে লুকাই সে বেদনা চোখের জলে। আজও যখন পত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখি নারী-শিশুর প্রতি শ্লীলতাহানির নানাবিধ খবর, তখন বেদনার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিই হয় কেবল, বাড়ে অসহায়ত্ব।
নিজের লজ্জা-দ্বিধার কথা ফলাও করে বলতে নেই জানি, তেমনি নিজের ভুল স্বীকার করে নিজেকে শোধরানোতেও কোনো পাপ নেই, বরং সেটাই গৌরবের। যদি আমরাও পারি এমন একটি সহমর্মিতা আর শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়তে। স্বপ্ন দেখি একদিন আমার প্রিয় স্বদেশের বাসে-ট্রেনেও আর ঘটবে না নারীকে অসম্মান করার মতো নিন্দনীয় একটিও দুর্ঘটনা। সেদিন আর এমন অদ্ভুত গল্পের ঝুলি নিয়ে বসব না আমিও। অন্য কোনো গল্প-কথন থাকবে সঙ্গে। একদিন সত্যিই আসবে যেদিন আমরা ‘ভালো’কে ভালো আর ‘কালো’কে কালো বলতে শিখব শিরদাঁড়া উঁচিয়ে। যদি কাউকে অনুসরণ করে সে শিক্ষালাভ হয় ক্ষতি কী তায়?

সঙ্গীতা ইয়াসমিন: টরন্টো, কানাডা।

ধারাবাহিক এই রচনার আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন: