প্রেম অথবা ভালোবাসাবিষয়ক গল্প

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

হাসপাতালের রিসেপশনে বেশ হইচই হচ্ছে। আমাকে বলা হলো একটু রিসেপশনে যাওয়ার জন্য। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। এখানে (ইংল্যান্ডে) হাসপাতালের রিসেপশনে হইচই হওয়া একটা অস্বাভাবিক ঘটনা। নিয়ম ধরে রোগী আসে। নিয়ম মেনে রোগীর লোকজনও আসে। কাজেই রিসেপশনে চেঁচামেচির কোনো সুযোগ নেই। কদাচিৎ হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ও ইমারজেন্সিতে কিছু ড্রাংক আসে এবং তারা হইচই করে। সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু সাইকিয়ার্টি ওয়ার্ডে লোকজন ড্রাংক হয়ে আসার কথা নয়। কাজেই হইচই শুনে নার্স, ডাক্তার, রোগী সবাই অবাক হন। আমি এগিয়ে যাই ব্যাপারটা কী তা বোঝার জন্য।

বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে আবার শীতও। কিন্তু আমাদের সামনে বাইশ বছরের যে ছেলে দাঁড়িয়ে রিসেপশনিষ্টের সঙ্গে তর্ক করে যাচ্ছে তাকে দেখে মনে হচ্ছে না যে সে শীত বা বৃষ্টিতে কাতর। গলার স্বর খুব উঁচুতে। তার নাম রব (রবার্ট)। রব বলেই চলেছে, আমি শুধু নিকির সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমাকে কেন আটকে রেখেছেন। তাকে খবর দেন। আমার হাতে সময় নেই।
নিকি (নিকোলা) হচ্ছে আমাদের হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স। বেশ কিছুদিন থেকেই সে এখানে কাজ করছে। যত দূর জানি সে বিবাহিত। তার স্বামী একটি স্কুলে চাকরি করে। রব দাবি করছে যে, সে নিকির প্রেমিক। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে সে প্রায় বিশ মাইল দূর থেকে ট্রাভেল করে এসেছে।
অবাক ব্যাপার হলো নিকি এ রবকে চেনেই না। সে বেশ বিব্রত এখন। প্রেমিক এসে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অথচ তাকে সে চিনতেই পারছে না! এর চেয়ে আর বিব্রতকর পরিস্থিতি কী হতে পারে?
নিকি অস্থিরভাবে ওয়ার্ডে পায়চারি করছে। বারবার পানি খাচ্ছে। আমাকে নিকি অনুরোধ করেছে রবের সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য। আমি তাকে বসিয়ে রেখে এসেছি। কথা বলেছি রবের ব্যাপারে। সে কিছুতেই এ নামের বা চেহারার কাউকে মনে করতে পারছে না। কেউ কেউ এটা নিয়ে মুচকি হাসছে। তবে নিকিকে বিশ্বাস না করার কোনো কারণ আমার নেই। আমি তাকে খুব ভালোভাবেই জানি। এ মেয়ে মিথ্যে কথা বলার কথা নয়। পরিচিত হলে সে খুব সহজেই স্বীকার করে নিত। এ নিয়ে সিনক্রিয়েট করার কোনো মানে হয় না।

ব্রিটেনে টিভি চ্যানেল টিভি ওয়ানের লাইভ প্রোগ্রামে লেখক
ব্রিটেনে টিভি চ্যানেল টিভি ওয়ানের লাইভ প্রোগ্রামে লেখক

রবের গায়ে যে টি শার্ট রয়েছে তা একটি নামকরা ব্রান্ডের। বুকে লাল রঙের হার্টের ছবি। সঙ্গে লেখা Love! বেশ অস্থির লাগছে তাকে। রবের সঙ্গে একটা ট্রাভেল ব্যাগ। চোখে রেবনের সানগ্লাস। বেশ একটা হলিডে ভাব আছে তার চেহারায়। তবে সে অস্থির কারণ নিকি কেন এখনো তার সঙ্গে দেখা করছে না, সে জন্য।
আমার সঙ্গে রব কথাই বলবে না। সে বুঝতে পারছে না তাকে কেন একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সে এসেছে তার কথিত প্রেমিকা নিকির খোঁজে, সেখানে আমি এক উটকো ঝামেলা হিসেবে তার সামনে হাজির হয়েছি। ব্যাপারটা বোঝাতে গিয়ে আমিও মহা মুশকিলে পড়লাম। শেষমেশ এই বলে রবকে আশ্বস্ত করলাম, আমি তার খবর নিকির কাছে পৌঁছে দেব। তবে এ মুহূর্তে যেহেতু এ ওয়ার্ডে আমিই একমাত্র সিনিয়র ব্যক্তি তাই তার আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আর না হয় আমাকে পুলিশকে কল করতে হবে। শেষের কথায় কিছুটা প্রচ্ছন্ন হুমকি বা ধমক ছিল। রব সেটা বুঝতে পারে। সে রাজি হয় আমার সঙ্গে কথা বলতে। তবে আরেকটা শর্ত এবং সে শর্ত হচ্ছে, সে সর্বোচ্চ দশ মিনিট আমার সঙ্গে কথা বলবে। আমি রাজি হলাম রবের এ শর্তে। রিসেপশনিস্ট আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি নিরাপদ ফিল করছি কি না। আমি ইশারায় তাকে রোগীর ইন্টারভিউ রুমের দিকে একটু খেয়াল রাখার কথা বলে রবকে নিয়ে রুমে চলে এলাম। পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য তাকে এক কাপ কফি দিই। আমার জন্যও এক কাপ নিয়ে আসি। রুমে লাইট অন করে নিজের বেল্টে বাঁধা প্যানিক অ্যালার্ম চেক করি। বলা যায় না কখন আবার ওটাতে টিপ দিতে হয়!
এবার শুনুন রবের মুখেই তার কাহিনি।
আমার বয়স বাইশ। একটা দোকানে সেলসম্যানের কাজ করি। তবে মাসখানিক হয়েছে ওই চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। আর পারছি না। চরম এক সাসপেন্স আর অস্থিরতার মাঝে আছি। এ নিয়ে কাজ করা মুশকিল। কাজ না ছাড়লেও আমি এ জব হারাতাম কারণ দোকানের মালিক আমার অস্থিরতা দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি আমি নিজেই রিজাইন দিয়ে দিলাম।
ঠিক এক মাস আগে আমার মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। আমি বেশ ঘাবড়ে যাই। তার বয়স মাত্র চল্লিশ। বাবা মারা যান রোড অ্যাক্সিডেন্টে। আমার কোনো ভাইবোন নেই। তাই সহজেই মুষড়ে পড়ি। এক ধরনের অস্থিরতা হয়। আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে যাই। ওখানকার ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করে বলল, আমার কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। টেনশন বা Anxietyর জন্য একজন সাইকিয়াট্রিক নার্স দেখবে। প্রয়োজন হলে সে নার্স আমাকে সাইকিয়াট্রিকের কাছে রেফার করবে। আমাকে রেফার করার প্রয়োজন হয়নি। নিকির সঙ্গে ওখানেই পরিচয়। নিকি ছিল ওই শিফটের সাইকিয়াট্রিক নার্স। সে আমার সঙ্গে কথা বলে খুব সুন্দর করে। আমার পরিবার, জব ও রিলেশনশিপের তথ্য জানতে চায়। সে আমার কষ্টে খুব সহানুভূতি প্রকাশ করে। আমার মায়ের কথা বলতে গিয়ে আমি কেঁদে ফেলি। নিকি টিসু এগিয়ে দেয়। আমার জন্য চা বানিয়ে দেয়। আমার কথাগুলো সে খুব মনোযোগ দিয়ে শোনে। আমি যখন কাঁদছিলাম সে আমার ঘাড়ে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেয়। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড ছিল, সে আসার সময় বলে, যেকোনো সমস্যা হলে আমি যেন আবার হাসপাতালে আসি। তবে আমার কোনো বড় কোনো সমস্যা নেই। কাজেই আমার আর বড় কোনো ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়নি।
আমার আর শ্বাসকষ্ট হয়নি এবং সে জন্য নিকির অবদান অনেক বেশি। সে ই আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আমি তাকে বিশ্বাস করেছি। তবে হাসপাতালে দেখার পর থেকেই নিকি আমার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। নিকি আমার সব। নিকিই আমার জীবন। নিকি আমার প্রেম। নিকির সেই ভুবন ভোলানো হাসি, টানা টানা চোখ আমি গত এক মাসে একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি। এর মানে আমি বুঝি। নিকি আমার ভালোবাসা। কিন্তু সে লজ্জায় আমাকে তা বলতে পারেনি। আমি একটা গবেট। আমি কেন এগিয়ে এসে তার সে ভালোবাসার স্বীকৃতি দিইনি। আমি কেন আমার মোবাইল নম্বর নিকিকে দিইনি! নিকির জন্যই আমি এত দিন ধরে অপেক্ষা করছি। সেও আমার জন্যই অপেক্ষায় আছে। প্রথম দিন দেখার পরেই নিকি আমার ধ্যান জ্ঞানের সবটুকু অংশ জুড়ে আছে। আমি নিকিকে ছাড়া বাঁচব না ডাক্তার। নিকিকে আমার চাই। সে আমার জন্য অপেক্ষায় আছে।
আমি একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম, যখন তার সঙ্গে হাসপাতালে আমার দেখা হয় তখন ভুলক্রমে আমি তার ফোন নম্বর নিইনি। ভুলে তার বাসার ঠিকানাও জিজ্ঞেস করিনি। গত এক মাস ধরে পাগলের মতো আমি নিকির জন্য ঘুরছি। হাসপাতালে গিয়েছি। ওর ঠিকানা জোগাড় করার চেষ্টা করেছি। ফোন নম্বরের জন্য এখানে ওখানে ঘুরঘুর করেছি। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। একদিন সামান্যের জন্য আমি তাকে মিস করেছি। ওর জন্য জেনারেল হাসপাতালের গেটে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ করেই নিকিকে দেখি। সম্ভবত শিফট শেষ করে বাসায় ফিরছিল। ওকে ডাক দিলাম ‘নিকি, নিকি বলে’। কিন্তু সে আমাকে শুনতে পারেনি। নিকি বাসে উঠে পড়ে। আমি দৌড়ে এসে বাসে ওঠার আগেই বাস ছেড়ে দেয়। তারপর ট্যাক্সি ডেকে বাসকে ফলো করেছি। বেটা ট্যাক্সি ড্রাইভার একটা বজ্জাত। যখনই সে আমার ঘটনা শুনল তখনই আমাকে নামিয়ে দিল রাস্তার মাঝখানে। বলল সে আর পারবে না। ফাজিল কোথাকার। তারপর প্রতিদিন সকালে একই সময়ে নিকির জন্য সে গেটে অপেক্ষা করি। একই বাসে চড়ে সারা দিন ঘুরেছি। কিন্তু নিকির সঙ্গে দেখা হয়নি।
জেনারেলে হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড আমাকে আর ওখানে ঢুকতে দেয় না। ওরা হুমকি দিয়েছে যে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে। তবে লোকটা ভালো। সেই আমাকে আজ বলেছে যে আমি যেন এই সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে খোঁজ করে দেখি। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ, সে আমাকে নিকির খবর পাওয়ার মতো একটা স্থানের নাম উল্লেখ করেছে। তোমাদের মূল হাসপাতাল থেকে এ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল প্রায় দশ মাইল দূরে। এ দশ মাইল ট্যাক্সি করে আসতে আমার মনে হয়েছে দশ বছর চলে গেছে। যথেষ্ট হয়েছে ডাক্তার। দশ মিনিট ওভার হয়েছে। আমাকে নিকির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দাও।
এবার আমি রবকে একটু থামাই। এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিই। তাকে আশ্বস্ত করি এই বলে, আমি তার কাছ থেকে আর বেশি সময় নেব না। কিছু প্রশ্ন করেই আমি এ ইন্টারভিউয়ের ইতি টানব। অনেক কষ্টে আমি রবকে আমার সঙ্গে কথা বলতে রাজি করাই। ইন্টারকম বেজে ওঠে। রিসেপশনিস্ট জানতে চাইছে আমি ওকে আছি কিনা। তাকে আশ্বস্ত করলাম আবার।
—নিকি বলছে সে তোমাকে চেনে না, কাজেই তুমি যে সম্পর্কের কথা বললে সেটাতো ঠিক মিলছে না।
—অসম্ভব। এটা হতেই পারে না। সে আমাকে এক মাস আগে হাসপাতালে দেখেছে। তার হাসি এবং চোখের চাহনি দিয়ে আমাকে মেসেজ দিয়েছে যে সে শুধুই আমার জন্য। রব বলল।
—নিকি তো ইমারজেন্সিতে তার ডিউটি করেছে। এ রকম কত রোগীর সঙ্গেই সে কথা বলে।
—অসম্ভব। তার সে হাসি ও চোখের চাহনি শুধুই আমার জন্য ছিল। আমি এর অর্থ বুঝি। এর মানে একটাই। নিকি শুধু আমার জন্য।
—তোমাকে তো সে তার নম্বর বা ঘরের ঠিকানা বলেনি। সত্যিই যদি ভালোবাসা হবে তবে কি সে তা তোমাকে বলত না?
—নিকি একটা লাজুক মেয়ে। সে লজ্জায় ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। তাই বলে আমিতো তার এ ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দিতে পারি না।
—কারও সঙ্গে আলাপ করেছ এ ব্যাপারে?
—বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা পাত্তা দেয়নি। আমিও ওদের পাত্তা দিই না। আমার ভালোবাসা। আমার সিদ্ধান্ত।
—অন্য কোনো সম্পর্ক?
—আরেকটা প্রেম ছিল এ রকম। সামান্যের জন্য মিস করেছি।
—মানে?
—মেয়েটার সঙ্গে সুপারমার্কেটে দেখা হয়েছিল। অনেক দিন সেই সুপারমার্কেটে গিয়েছি। দেখা হয়নি আর। ওর হাত থেকে মোবাইল ফোন পড়ে গিয়েছিল। আমি ওটা তাকে তুলে দিয়েছিলাম। সে আমাকে হাসি দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছিল। আমি সে হাসির মর্ম বুঝতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। আর তাকে খুঁজে পাইনি।
—আর কোনো সমস্যা? কখনো ডাক্তার দেখিয়েছ?
—না, একবার শুধু হাসপাতালে এসেছিলাম যখন নিকির সঙ্গে দেখা হয়।
—তো কি করতে চাও এখন? সঙ্গে এ ট্রাভেল ব্যাগ কেন? কি আছে ওখানে?
—নিউ জার্সিতে (দ্বীপ) একটা হোটেলে রুম বুক করেছি সাত দিনের জন্য। নিকি আর আমি ওখানে হলিডেতে যাচ্ছি আজ। এই কিছু জিনিসপত্র।
—নিকিকে জিজ্ঞেস না করেই এ হলিডে বুক করেছ?
—জিজ্ঞেস করার কী আছে? সেতো আমার জন্য পাগল হয়ে আছে। বলা মাত্রই আমার সঙ্গে চলে আসবে। জিজ্ঞেস করেই দেখ না। ভালোবাসার কাছে এসব চাকরি টাকরি কিছুই না। আমার জব কি আমি নিকিকে খোঁজার জন্য ছেড়ে দিইনি?
—যদি ধরো...।
—এসব যদি টদি বাদ। নিকিকে বলো আমি অপেক্ষা করছি। তুমি আমার যথেষ্ট সময় নষ্ট করেছ।
—সরি।
—আই ওয়ান্ট হার নাউ, এনাফ ইজ এনাফ।
রব তার গলার স্বর আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। আমি খেয়াল করি ওর হাত ব্যাগে ঢুকে যাচ্ছে।
—ব্যাগে কি খুঁজছ তুমি? একটু আস্তে কথা বলো।
ততক্ষণে রবের হাতে চকচকে একটা চাকু চলে এসেছে।
ভয় পেয়ে যাই। প্যানিক অ্যালার্মে হাত চলে যায়।
—নিকি আর আমার মাঝখানে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, ওদেরকে আমি শেষ করে দেব।
হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড ও রিসেপশনিস্ট চলে এসেছে। এবার রবের হাত থেকে চাকু উদ্ধারের পালা।

উপসংহার
রব এক ধরনের মানসিক সমস্যা Delusion of Love (Erotomania or De Clérambault's Syndrome) ভুগছিল। ওকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে অন্য এক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।

এ কাহিনি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। Patient confidentiality issues থাকায় স্থান, কাল ও পাত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ডা. আলী জাহান: ইংল্যান্ডে কর্মরত সাইকিয়াট্রিস্ট। ইমেইল: <[email protected]>

ধারাবাহিক এই রচনার আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন