বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত কুয়ালালামপুরের ক্রিকেট মাঠ

বাংলাদেশি দর্শক
বাংলাদেশি দর্শক

গত শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে আমরা কয়েক শ প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমী মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়েছিলাম কিনারারা ওভাল গ্রাউন্ডে। উপলক্ষ ক্রিকেট মাঠে লাল-সবুজ জার্সি পরিহিত যুব টাইগারদের (অনূর্ধ্ব-১৯) খেলা উপভোগ করা। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ নেপালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় দেখব মাঠে বসে!

হ্যাঁ, আমরা যারা মাঠে গিয়েছিলাম সবারই ধারণা বাংলাদেশই জিতবে। গত কয়েক বছর ক্রিকেটে চমক দেখানো সাকিব-তামিম-মুশফিকদের খেলায় চার-ছক্কার মারে এত দিন কেবল টিভির সামনে বসে হাততালি দিয়েছি। এবার সরাসরি মাঠে বসেই সাইফ-আফিফদের খেলায় হাততালি, হইচই আর ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত করে তুলি। কয়েকশ বাংলাদেশি দর্শকের স্লোগান শুনে দায়িত্বরত মালয়েশিয়ান পুলিশ সদস্যরা তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের দিকে।

খেলোয়াড়ের সঙ্গে সেলফি
খেলোয়াড়ের সঙ্গে সেলফি

ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের নৌকা কোন বন্দরে গিয়ে ভেড়ে সেই টেনশন করতে করতে অবশেষে যুব টাইগারদের দুই উইকেটে জয়ে সে কী উল্লাস প্রবাসী দর্শকদের! বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও মাঠ থেকে সবাই দল বেঁধে ছুটে এল প্রবাসী দর্শক ভাইদের কাছে। অচেনা-অজানা মানুষগুলোকে তখন খুবই আপন মনে হচ্ছিল। যেন অনেক দিন পর আপন মানুষের সঙ্গে দেখা! খেলোয়াড়রাও যেন প্রত্যাশিত জয় নিয়ে আপনজনের কাছে ফিরে এল।
শুরু হলো খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লিক ক্লিক, সেলফি আর গ্রুপ ছবি তোলা। বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি যুব দলের মোহাম্মদ সাইফ হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব (সহ-অধিনায়ক), নাঈম হাসান, পিনাক ঘোষ, তৌহিদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া অঙ্কন, মোহাম্মদ রাকিব, রবিউল হক, হাসান মাহমুদ, কাজী অনিক ইসলাম, রনি হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, নাইম শেখ, শাকিল হোসেনের সঙ্গে মনভরে প্রবাসীরা ছবি তুললেন।

বাংলাদেশি দর্শক
বাংলাদেশি দর্শক

মাঠে এসে উৎসাহিত করার জন্য অধিনায়ক সাইফ প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। সাইফ আমাদের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের পরবর্তী ম্যাচগুলো দেখার এবং তাঁদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানালেন। বাংলাদেশের জয় আর সাইফের কথায় খুশি হয়ে গ্রুপ পর্বের আগামী দুই ম্যাচেও বাংলাদেশের জয় কামনা করতে করতে খুশি মনে ফিরে এলাম আমরা।
প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা দল বেঁধে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের কয়েকজনের নাম বলতেই হয়। উল্লযোগ্যরা হলেন মোস্তাফা ইমরান, কায়সার হামিদ, শাহাদত হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মোস্তাক রয়েল, শাহ আলম হাওলাদার, ওয়াহিদ সোহান। সপরিবারে এসেছিলেন এস এম রহমান পারভেজ, রাশেদ বাদল, শামছুজ্জামান নাঈম, রাসেল, সাখাওয়াত হোসেন, লায়ন, জাকির ও কবিরুজ্জামান জীবন প্রমুখ। আরও অনেকেই ছিলেন বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত করা আমাদের এই ক্রিকেট ভক্ত দলে।

রফিক আহমদ খান: কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে