তিনি সর্বদা আমাদের সঙ্গেই আছেন

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

পুবের আকাশ রাঙা, তখনো সূর্য ওঠেনি যদিও 

প্রত্যুষের প্রার্থনা শেষে জানালায় গিয়ে বসি আরও একটি সূর্যোদয় দেখার অপেক্ষায়
একটি নরম মৃদু বাতাসের মায়াবী স্পর্শ আমার মুখ অতিক্রম করে
আমি চোখ খুলে তাকাই, বিধাতার দেওয়া উপঢৌকনের অনেক কিছুই আমি টের পাই।
পৃথিবীর সব সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ বিধাতা আমাকে দিয়েছেন
আর আমি তাই অদৃশ্য অথচ মহান সৌন্দর্য স্রষ্টার প্রশংসায় মগ্ন হই।
লাল টকটকে সূর্য উঠে আসে, শুরু হয় একটি নতুন দিন
আমি চুপচাপ বসে এই অসীম সৌন্দর্যকে প্রাণভরে উপভোগ করি।
আমার দেহ-মন আরও একবার স্নিগ্ধতায় ভরে ওঠে, আমি মুগ্ধ হই।
আমি প্রার্থনা করি, হে সৃষ্টিকর্তা আমার ওপরে নজর রাখুন, আমাকে নিরাপদ রাখুন
আমাকে নিজের ওপরে আরও বিশ্বাসী হতে শেখান, আমাকে দৃঢ় হতে শেখান,
ভালোবাসা দিয়ে আমাকে সকল অনিয়মকে জয় করতে দিন।
আবারও একটি মৃদু বাতাস আমার মুখমণ্ডল স্পর্শ করে, আমি বিমুগ্ধ হই।
আমি সৃষ্টিকর্তার কণ্ঠ শুনতে পাই না, কিন্তু প্রবহমান বাতাস থেকে কিছু বাণী উচ্চারিত হয়।
বিধাতা আমার সঙ্গেই আছেন, বিধাতা আমাকে কখনই একা রাখেননি,
বিধাতা আমার অন্তরে আছেন বাইরে আছেন।
সৃষ্টিকর্তা চিরতরেই আমার সঙ্গে আছেন।
মৃদু বাতাসের দোলা আমাকে আরও বেশি উদ্বেলিত করে আবারও।
আমি শুনতে পাই, জীবনের প্রতিটি দিনেই নতুনত্ব আছে চমক আছে, খুঁজে নিতে হবে।
আমাদের অনুশোচনা, দুঃখ ভার, পিছুটান
আমাদের সামনের আলোঝলমলে দিনগুলোকে বড় বেশি বেদনার্ত করে তোলে।
আমরা সুন্দরের চর্চা করি, সুন্দরকে উপভোগ করি,
প্রকৃতির নিরাভরণ সৌন্দর্যের মতো নিজেকে সুন্দর করে তুলি,
জীবন অনেক সুন্দর আর এই মহা সৌন্দর্যের কারিগর সর্বদা আমাদের সঙ্গেই আছেন।

নুরুল হুদা পলাশ: সাস্কাতুন, সাস্কাচেওয়ান, কানাডা।