টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি উদ্যাপন

স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা
স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা

জাপানের টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি উদ্‌যাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস গত ৮ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশিসহ জাপানের সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ইউনেসকোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একটু দেরিতে হলেও ইউনেসকো তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি এ জন্য ইউনেসকোসহ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক নির্ণায়ক মুহূর্ত। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ একদিকে যেমন আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তেমনটি এই ভাষণেই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ দিক-নির্দেশনা।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

আলোচনার প্রারম্ভেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। ১৫ মিনিটের এই ভাষণ উপস্থিত অতিথিরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন এবং আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
আলোচনা পর্বেও সেই আবেগেরই রেশ ফুটে ওঠে। প্রথমবারের মতো এই ভাষণ শুনলেন এবং দেখলেন এমন জাপানি অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ইউনেসকোর এই স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত যথার্থ বলে মন্তব্য করেন।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

সবশেষে উপস্থিত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাশতা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি