বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতিতে সিঙ্গাপুরে আনন্দ উৎসব

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি সিঙ্গাপুরে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে হাইকমিশন মিলনায়তনে এক আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশের শুরুতে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বড় স্ক্রিনে রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান

দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই কালোত্তীর্ণ ভাষণটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ন্যায় ও মুক্তির পথে সতত উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সংরক্ষিত থাকবে। ইউনেসকো কর্তৃক এ ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতিকে বিশ্বদরবারে এক নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ইউনেসকো কর্তৃক এ স্বীকৃতির অব্যবহিত পরেই হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ভাষণটির একটি কপি সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহ, কূটনৈতিক মিশন, শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের কাছে প্রেরণ করা হয় এবং স্বীকৃতির বিষয়টি প্রচারে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি