জাপানে বিজয় দিবস পালন

অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের দৃশ্য
অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের দৃশ্য

জাপানের রাজধানী টোকিওতে যথাযথ মর্যাদায় ও নানাবিধ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ৪৭তম বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়েছে। জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মহান এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে আজ (১৬ ডিসেম্বর শনিবার) দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পতাকা উত্তোলন করেন। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের দৃশ্য
অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের দৃশ্য

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে পরবর্তী অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসের কথা তুলে ধরে তিনি সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান এবং জাপানে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।

বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা
বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা

আরও বক্তব্য দেন জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিদেতোশি ইরিগাকি, জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি রাষ্ট্রদূত মাতসুহিরো হরিগুচি এবং জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মাতসুহিরো হরিগুচি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের কঠোর সংগ্রামের বর্ণনা দেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

অনুষ্ঠানে জাপানের মাটি ও মানুষের কাছে বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার আপ্রাণ প্রয়াসের জন্য স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি ও উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ জাপানকে জাপানে বাংলাদেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি করা হয়। সেখানে স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি ও উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ ছাড়াও টোকিও ইউনিভার্সিটির ফরেন স্টাডিজ অনুষদের একটি দল বাংলায় গান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশি-বিদেশি অতিথিরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সকল আয়োজন উপভোগ করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সবশেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি এবং বাংলাদেশি খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

অতিথিদের একাংশ
অতিথিদের একাংশ