মুম্বাইয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন

ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৪৬তম বার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর দা পারফর্মিং আর্টস ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র গেরিলা প্রদর্শন করা হয়।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান

দিবসের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর দুজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর দৃশ্য
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর দুজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর দৃশ্য

আলোচনা পর্বে মো. লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশের সকল নাগরিককে দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সচেতনভাবে কাজ এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর দুজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য তাদের যুদ্ধকালের স্মৃতিচারণা করেন।
এরপর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, মহারাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি, মুম্বাইয়ের ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন

এই অনুষ্ঠানে উপ হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পটভূমি তুলে ধরা। প্রদর্শিত চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমসাময়িক এবং প্রামাণিক বর্ণনা আমন্ত্রিত দর্শকদের মাঝে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি