সিঙ্গাপুরে মহান বিজয় দিবস পালন

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান

সিঙ্গাপুরে যথাযথ মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আজ (১৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী কর্মসূচি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশি, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন

সিঙ্গাপুরে সিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং জাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পড়ে শোনানো হয়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় হাইকমিশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের আত্মত্যাগ ও অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি উল্লেখ করে তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে বিশ্বদরবারে মহিমান্বিত করেছে বলে উল্লেখ করেন।

উপস্থিতি
উপস্থিতি

মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তৃতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশগড়ার কাজে ও দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যাতে বিকশিত হয়, সে লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি এবং নাচ দর্শক-শ্রোতারা আনন্দচিত্তে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাগত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার সহযোগে আপ্যায়ন করা হয়।

উপস্থিতি
উপস্থিতি

বিজ্ঞপ্তি