পাকিস্তানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপিত

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর শনিবার হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণ ক্ষুদ্রাকৃতির জাতীয় পতাকা, বিজয় দিবসের পোস্টার ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে মনোরমভাবে সাজানো হয়।

আলোকচিত্র প্রদর্শনী
আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান। পতাকা উত্তোলনকালে মিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

বিজয় দিবস উপলক্ষে চান্সারি প্রাঙ্গণে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনার তারিক আহসান প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সত্তরের নির্বাচন থেকে শুরু করে একাত্তরের বিজয়ের দিন পর্যন্ত ঘটনাবলির ওপর ভিত্তি করে তোলা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পায়। অতিথি ও দর্শক বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই প্রদর্শনী ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে।

বক্তব্য দিচ্ছেন একজন আলোচক
বক্তব্য দিচ্ছেন একজন আলোচক

বিকেলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথাসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানের কথা বর্ণনা করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাইকমিশনার তারিক আহসান দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ৩০ লাখ শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তারিক আহসান মন্তব্য করেন যে, মুক্ত-স্বাধীন সর্বজনীন বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনা নিয়ে এখন উন্নয়নের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, লাখো শহীদদের আত্মত্যাগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে-প্রাণে লালন করে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারলেই সম্ভব হবে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত বাংলাদেশ গড়া।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা বেশ কয়েকটি মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও যন্ত্র-সংগীত পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করে।
পরিশেষে অতিথিদের দেশীয় সুস্বাদু খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি