করাচিতে বিজয় দিবস উদ্যাপন

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ

পাকিস্তানের করাচিতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবসের ৪৬তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে। মহান এ দিনটি পালনের জন্য মিশনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করাচিপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশের উপহাইকশিনার নূরে হেলাল সাইফুর রহমান উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন

পরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এর বাণী পড়ে শোনান উপহাইকমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির মধ্য থেকে কয়েকজন আলোচনায় অংশ নেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন নূরে হেলাল সাইফুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন নূরে হেলাল সাইফুর রহমান


নূরে হেলাল সাইফুর রহমান তার বক্তব্যে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো কালজয়ী নেতৃত্বের কারণেই আমরা এত সহজে ও স্বল্প সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক জাতীয় চার নেতা ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান যদি আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তবে তাদের ১৯৭১ সালে তাদের সেনাবাহিনীর হাতে সংগঠিত গণহত্যার দায় স্বীকার করে ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের মানবতা ও ইতিহাসের দায় মেটাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি

অনুষ্ঠানে সমবেতদের একাংশ
অনুষ্ঠানে সমবেতদের একাংশ