মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার আহ্বান

বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনীম
বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনীম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্ব দরবারে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশ দূতাবাস এই সভা আয়োজন করে। গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার দেশটিতে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন

রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকেই মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের কট্টরবাদ ও চরমপন্থার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সাইদা মুনা তাসনীম তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেসকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করা লাখো মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। বিশেষভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর অবদানের ওপর আলোকপাত করেন। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যুতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় দূতাবাস কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশ নেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

এর আগে দূতাবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম। চ্যান্সারি ভবনে এ সময় দূতাবাস কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

অনুষ্ঠানে ছিল বিশেষ সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে স্বাধীন বাঙলা বেতারকেন্দ্রের সংগীত পরিবেশন করা হয়। ছিল দেশাত্মবোধক গান ও নাচের আয়োজনও। এই আয়োজন প্রায় তিন শ বাংলাদেশি প্রত্যক্ষ করেন। সব শেষে অনুষ্ঠানে আগতদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি