জেদ্দায় বইমেলা ও পিঠা উৎসব

মেলায় ক্রেতাদের ভিড়
মেলায় ক্রেতাদের ভিড়

সৌদি আরবের বাণিজ্যিক নগরী জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে বইমেলা ও শীতকালীন পিঠা উৎসব। গত ২৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় এই বইমেলা ও পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেদ্দার আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ছয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান—বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া জেদ্দার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাংলা ও ইংরেজি সেকশনও বইমেলায় অংশ নেয়। পাশাপাশি কনস্যুলেটের উদ্যোগে মেলায় আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব।

স্টলে বই
স্টলে বই

মেলা ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কনসাল কে এম সালাহ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও উপপরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ প্রমুখ। আরও ছিলেন জেদ্দা কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সেলর আমিনুল ইসলাম, কাউন্সেলর মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, প্রথম সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ভাইস কনসাল মোস্তফা জামিলসহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

স্টলে পিঠা
স্টলে পিঠা

মেলায় পিঠার স্টলে ছিল প্রায় ৩০ ধরনের পিঠা। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ভাপা পিঠা, ভেজিটেবল ঝাল পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, চিতই পিঠা, চুটকি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চাঁদ পাকন পিঠা, ছিট পিঠা, সুন্দরী পাকন, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, দুধ চিতই, চই পিঠা, পানতোয়া ও পুডিং, নোয়াখালীর ঐতিহ্য বউ পিঠাসহ আরও অনেক ধরনের পিঠা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

সংবাদ প্রেরক: বাহার উদ্দিন, জেদ্দা সৌদি আরব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান