আমিরাতে নতুন বছরে সিলেটবাসীর আনন্দ ভ্রমণ

আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন বছরের প্রথম দিন ছুটি থাকায় আনন্দ ভ্রমণ করেছেন দেশটির আজমানে বসবাসরত সিলেটবাসীরা। এই আনন্দ ভ্রমণ শুরু হয় আজমান থেকে। এতে সপরিবারে অনেক সিলেটবাসী অংশগ্রহণ করেন। তাদের ভ্রমণের শেষ গন্তব্য ছিল দুবাইয়ের দর্শনীয় স্থান হাত্তা পর্যন্ত।

আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি আজমান থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার পর পথে চলন্ত গাড়িতে লোকগান পরিবেশনা ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। এরপর নির্দিষ্ট গন্তব্য হাত্তায় চলে নানা ধরনের দেশীয় খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন সিআইপি আশিক মিয়া, মো. আহমদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল লতিফ, আবুল কালাম আজাদ, সালেহ আহমদ, আবদুল হামিদ ও মুহিবুর রহমান মুহিব প্রমুখ।

আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

উল্লেখ, প্রতিবছরের মতো এবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নানা জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এবার বিশ্বের সর্বোচ্চ দালান দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফায় ছিল লেজার লাইটিং। বিশ্বের নানা দেশের পর্যটকদের দুবাইতে এসে ইংরেজি নতুন বছর উদ্‌যাপন করতে দেখা গেছে। দেশটির রাস আল খাইমায় আয়োজন করা হয় বিশাল আতশবাজি। বুর্জ আল খলিফা ও রাস আল খাইমার দুই আয়োজন গিনেস বুকে রেকর্ড করতে নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। এসব আয়োজনে আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

দুবাইয়ে আতশবাজি
দুবাইয়ে আতশবাজি

এ ছাড়া গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে ছিল বাংলাদেশের পতাকা ডিসপ্লে এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দুবাই সরকার শ্রমিকদের জন্য দুদিন ছুটি ঘোষণা করে। তাদের বিনোদনের জন্য দুবাইয়ের শ্রমিক বসতিপূর্ণ দুই এলাকা আল কুজ ও মুহাইসানাতে বসানো হয়েছিল একাধিক প্রজেক্টর।

দুবাইয়ে আতশবাজি
দুবাইয়ে আতশবাজি

শ্রমিকদের বাড়তি বিনোদন দিতে সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা এক মিনিট পর্যন্ত চালু ছিল এসব প্রজেক্টর। আতশবাজির আগে সন্ধ্যা থেকে রাতভর দেখানো হয় হিন্দি চলচ্চিত্র এবং আরব আমিরাতের নানা দর্শনীয় স্থানের প্রামাণ্যচিত্র। রাতে কয়েক হাজার শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থাও করে দুবাই সরকার।
এদিকে দিনটিকে উদ্‌যাপন করতে বাংলাদেশিরা পিকনিক এবং নানা সম্মিলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশি নানা সামাজিকও সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিনটি ঘিরে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

সংবাদ প্রেরক: লুৎফুর রহমান, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত।