স্কলার্স বাংলাদেশের প্রবাসী দিবস উদ্যাপন

বক্তব্য দিচ্ছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত
বক্তব্য দিচ্ছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত

দেশের উন্নয়নে যেসব উপাদান অবদান রাখে, তার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অন্যতম। ইদানীং মানুষ অনেক বিদেশ যাচ্ছে, কিন্তু প্রবাসী আয় সেভাবে হচ্ছে না। এটি নিয়ে নানান গবেষণা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রবাসীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেছেন।

ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবাসী বাংলাদেশি দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি দিবস পালন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বক্তব্য দিচ্ছেন এম ই চৌধুরী শামীম
বক্তব্য দিচ্ছেন এম ই চৌধুরী শামীম

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দুর্নীতি বন্ধে তথ্যপ্রযুক্তির (আইসিটি) চেয়ে বড় হাতিয়ার আর নেই। সরকারের পেমেন্ট-রিসিভ সিস্টেমে ব্যাপকভাবে আইসিটি ব্যবহার হচ্ছে। তিনি এ সময় দুর্নীতি বন্ধে আইসিটির গুরুত্ব বোঝাতে সিলেটের মদন মোহন কলেজের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করছেন। তাঁদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান বিবেচনায় সরকারের প্রতি দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার দাবি জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিরা প্রবাসী দিবসের লোগো উন্মোচন করেন। লোগোর নকশা করেছেন শিল্পী হাশেম খান। প্রবাসী দিবসের থিম গানের সঙ্গে নাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবাসী দিবস পালন করা হয়। বছরের এই সময়ে বড় দিন ও ইংরেজি নববর্ষের ছুটি থাকায় প্রবাসীদের দেশে আসতে সুবিধা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে বর্ষ শেষের অবকাশ থাকায় ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলোচকেরা
আলোচকেরা

স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমাসের্র প্রেসিডেন্ট এনাম আলী, স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আবদুল মোমেন ও স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নুরুন্নবী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মূলধারার রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম, শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিক্ষা ও গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বাংলাদেশের সামাজিক খাতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের নয়টি ক্যাটাগরিতে এনআরবি/পিবিও মোট ১৭ জনকে স্কলার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার দেওয়া হবে। স্কলার অব দ্য ইয়ার সম্মাননা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে এক হাজার ৭২৬ জন ব্যক্তির পক্ষে আবেদন জমা পড়েছিল। সেখান থেকে ৪০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা স্কলার্স বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ১৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।
অনুষ্ঠানে এনআরবি/পিবিও ক্লাব লিমিটেড নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ক্লাবের সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়। ক্লাবের অনারারি মেম্বার হিসেবে ৮ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তারা হলেন হ্যানসন ক্লার্ক, আনোয়ার চৌধুরী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিকী, রওশন আরা, জাওয়েদ করিম, নাফিস বিন জাফর ও মার্গারিটা মামুন।