সিঙ্গাপুরে ডিপ্লোমা মেরিন প্রকৌশলীদের মিলনমেলা

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

প্রবাসে একটি জায়গায় যদি বাঙালিরা একসঙ্গে মিলিত হন তাহলে তো কোনো কথাই নেই। রক্তের টান, দেশের টান, ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির টানে সিঙ্গাপুর সায়েন্স সেন্টারে আমরা শতাধিক বাংলাদেশি উৎসবমুখর পরিবেশে মিলিত হয়েছিলাম। এ যেন এক অন্যরকম উৎসব। প্রবাসে অন্যরকম মিলনমেলা। এই মিলনমেলার আয়োজন করেছিল ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর (ডিএমইএবিএস)।

আমরা প্রবাসে বসবাস করলেও মন কাঁদে সর্বদা বাংলার মা, মাটি ও মানুষদের জন্যই। তাইতো সমবেত কণ্ঠে দাঁড়িয়ে সকলেই যৌথ কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’
শাহ মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খুদে শিশুদের নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিল্পীরা মঞ্চে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘একবার যেতে দে না’, ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’ ও ‘আগে কত সুন্দর দিন কাটাইতাম’সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। এ ছাড়া আনন্দ আড্ডা, হাসি ও মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে সমগ্র আয়োজন ছিল আনন্দে ভরা। অনুষ্ঠান চলাকালে মনেই হয়নি আমরা প্রবাসে আছি। মনে হয়েছিল এ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।

ডিএমইএবিএস-এর কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা
ডিএমইএবিএস-এর কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা

মিলনমেলার একপর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের কয়েকজন বক্তব্য দেন। প্রথমে সকলকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডিএমইএবিএস-এর সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান হায়দার।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর বুটিক বাটক এলাকার সংসদ সদস্য মুরালি পিল্লাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। আরও ছিলেন ডিএমইএবিএসের সিনিয়র সহসভাপতি মো. জসীম উদ্দীন, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুগম চাকমা প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনসুর আহমেদ, আমিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন, কাজী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও সফিক ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ প্রেরক: এম ওমর ফারুকী, সিঙ্গাপুর।