তুরস্কের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ফাতমা বেতিল সায়ান কায়ার সঙ্গে এম আল্লামা সিদ্দীকী
ফাতমা বেতিল সায়ান কায়ার সঙ্গে এম আল্লামা সিদ্দীকী

তুরস্কের পরিবার ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতিল সায়ান কায়ার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়সহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের উদ্বাস্তু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় এম আল্লামা সিদ্দীকী মন্ত্রীকে উদ্বাস্তু পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের জন্য এবং এ বিষয়ে তুরস্ক সরকারের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এম আল্লামা সিদ্দীকী গতকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

এ ছাড়া এই সংকটের ঐতিহাসিক পটভূমির প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভিটেমাটিহারা দুর্দশাগ্রস্ত ও পীড়িত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আশ্রয়দানের জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সাহসী উদ্যোগ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। আল্লামা সিদ্দীকী আরও বলেন, মিয়ানমারের উদ্বাস্তু সংকট সৃষ্টির মূলে রয়েছে মিয়ানমার এবং এ সংকটের সমাধানও নিহিত রয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী।
ফাতমা বেতিল সায়ান কায়া একটি রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তুরস্কের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তুরস্ক বর্তমানে ৩.২ মিলিয়ন সিরিয়ান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ও তাদের প্রতিপালন করছে। এ প্রেক্ষাপটে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত মিয়ানমারের উদ্বাস্তুদের জীবনমান উন্নয়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহায়তার ব্যাপারে মন্ত্রী ফাতমা বেতিল সায়ান কায়া আলোকপাত করেন। আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্জনের প্রবহমান চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত এফওসি (Foreign Office Consultations) ও ২০১৭ সালের শেষভাগে অনুষ্ঠিতব্য যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (JEC) বিষয়ে আলোকপাত করেন। এই সভাসমূহ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক, ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া তাঁরা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা একমত হন যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন জোরালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি