প্রকৃতির কত রূপ

লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার
লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার

শুভ্র বসনা আমার বাগিচা।

প্রকৃতির কত রূপ।
সবুজের চাদর কোথায় মিলিয়ে গেল।
ফুলের সমারোহ কোথায় হারিয়ে গেল।
এখন এল সেতো শুভ্র, নরম তুলোর দল।

লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার
লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার

আমার বাড়ির সামনে পেছনে সবটুকুন জায়গা তাদের নিজের দখলে নিয়ে কীভাবে জড়িয়ে রেখেছে। কী যে মায়ায় এই জড়িয়ে ধর। কী যে মনোরম তাদের এই আলিঙ্গন।
প্রকৃতি প্রতি বছরেই নিয়ম মতো তার নিজস্ব রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়। তার এই উপস্থিতির কোনো ব্যত্যয় ঘটে না।
আজ যে এই শুভ্রত্ব, আজ যে এই মায়াময়ী সাদা তুলোর জড়াজড়ি...এরা আমাদেরই সন্তান। বাড়ি ছাড়া সন্তান আবার সময় করে যেমন বাড়ি আসে। শূন্য্ বাড়ি ভরে ওঠে। বাড়ির সব আলোগুলো একসঙ্গে হেসে ওঠে। ঠিক একই রকম অনুভূতি। একই রকম ভালো লাগা, সেই একই রকম ভালোবাসা।

লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার
লেখিকার বাড়ির সামনে-পেছনে শ্বেতশুভ্র তুষার

আমরা সবুজ দামাল ছেলের দল, ফুলের পরির দল, শান্ত শুভ্র মউলির এই মাখামাখি চাই বা না চাই, ওরা আসে, নিজেরাই আসে।
দিয়ে যায় আমাদের ওদের বুকের সবটুকু শুধা, ওদের সবটুকু সৌন্দর্য।
আমরা লোভী মানবজাতি তা আমাদের সুবিধামতো, যতটুকু পারি রাখি, যতটুকু পারি কাটি।
কিন্তু প্রকৃতি উদারভাবে আমাদেরকে বিলিয়েই যাচ্ছে আর আমরা মানবজাতির যা চরিত্র তার পুরোটাই ব্যবহার করছি।
পরম দয়াময়, তোমার কাছে অযুত-নিযুত শুকরিয়া, আমাদেরকে তোমার অপরূপ এই রূপ দেখার তৌফিক দান করেছ।

তামান্না হোসেন: আটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র।