ধনীদের আকৃষ্ট করতে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে

সিডনির একটি দৃশ্য। সংগৃহীত
সিডনির একটি দৃশ্য। সংগৃহীত

অভিবাসন দেশ হিসেবে বরাবরই বিশ্বের অন্যতম গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। তবে সম্প্রতি দেশটির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররা। ২০১৮ সালের গ্লোবাল ওয়েল্যাল মাইগ্রেশন প্রতিবেদনে এমন তথ্যই বের হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গোটা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হিসেবে সচ্ছল পরিবারের মানুষ পাড়ি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। গত বছর এমন অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার যা আগের বছরে ছিল ৮২ হাজার এবং ২০১৫ সালে ছিল ৬৫ হাজার। এর মধ্যে গত বছর শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই প্রায় ১০ হাজার এমন অভিবাসী বসবাস শুরু করেছেন যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ মার্কিন ডলারের সমতুল্য। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রে এমন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার। ধনীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে তাই অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে। এমনকি গত দশ বছরে অস্ট্রেলিয়ার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের চেয়েও বেশি সম্পদশালী।

ধনীদের আকৃষ্ট করতে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে। সংগৃহীত
ধনীদের আকৃষ্ট করতে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে। সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের জন্য ধনী অভিবাসীদের কাছে পছন্দের তালিকায় রয়েছে; সিডনি, মেলবোর্ন, গোল্ড কোস্ট, সানশাইন কোস্ট, পার্থ ও ব্রিসবেন। আর এর পেছনে ব্যবসায়িক কারণটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন অভিবাসীরা। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা বড় অংশের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় কার্যালয় স্থানান্তর করার একটা প্রচলনও দেখা দিয়েছে। এদিকে নিরাপত্তার দিক থেকেও অভিবাসীদের সন্তুষ্টি প্রদান করতে সফল অস্ট্রেলিয়া। শিশু ও নারী নিরাপত্তা প্রদানে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিশাল অস্ট্রেলিয়ার কম জনসংখ্যাও অভিবাসীদের আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে অন্যতম একটা কারণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম জনসংখ্যার দেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলোর একটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তানের মতো বেশি জনসংখ্যার দেশগুলো কম ধনীদের দেশের তালিকায় রয়েছে। অর্থাৎ কম জনসংখ্যা একটি দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলে।

সূত্র: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।