মিলানের পর্যটন মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করছেন এ কে এম শাহজাহান কামাল
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করছেন এ কে এম শাহজাহান কামাল

ইতালির সর্ববৃহৎ পর্যটন মেলা হিসেবে পরিচিত বরসা ইন্টারন্যাশনাল টুরিজম ফেয়ারে (বিট) অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিলানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি।

মেলায় প্রায় এক শ দেশের দুই হাজার কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা এ কে এম শাহজাহান কামাল, ইতালির হেরিটেজ অ্যান্ড কালচার অ্যান্ড টুরিজম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ডরিনা বিয়াঙ্কি, লোর্ম্বাদি রিজিয়নের প্রেসিডেন্ট রাফায়েলে ক্যাটানেও, মিলানের মেয়র যুসেপে সালাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মন্ত্রীরা।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও অন্যান্য
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও অন্যান্য


এ সময় মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল এ কে মোহম্মদ শামসুল আহসান, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নাসির উদ্দীন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং বিপুলসংখ্যক অতিথি ও দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এ কে এম শাহজাহান কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যসহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মিলানের বাংলাদেশি সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা প্যাভিলিয়নে উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলন
সাংবাদিক সম্মেলন


পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কে এম শাহজাহান কামাল উপস্থিত বিদেশি সাংবাদিক এবং ট্যুর অপারেটরসদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমুদ্র সৈকত, ম্যানগ্রোভ ফরেস্টসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দময় ও নিরাপদ করার জন্য সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, শিল্প-সাহিত্য ও সভ্যতার কেন্দ্রভূমি ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা


অনুষ্ঠানে ভিডিওচিত্র ‘ল্যান্ড অব রিভার্স’ ও ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ প্রদর্শন এবং সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্ব উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাংবাদিক ও সুধী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, মেলা চলাকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দুবার দেশীয় ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত, নৃত্য ও ফ্যাশন শো উপস্থাপন করা হয়। দর্শনার্থীরা সকল আয়োজন ব্যাপক উৎসাহে উপভোগ করেন। বিজ্ঞপ্তি