সিনেমায় চাপাবাজির কোনো জায়গা নেই

সাকিব খান
সাকিব খান

অস্ট্রেলিয়ায় চলছে হার্টবিট প্রোডাকশনের প্রযোজনার নতুন ছবি সুপার হিরো ছবির কাজ। ছবির প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। তরুণ নির্মাতা আশিকুর রহমানের পরিচালনায় শাকিব খানের বিপরীতে ছবিতে রয়েছেন শবনম বুবলি। শুটিংয়ের ফাঁকে চলচ্চিত্রের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন শাকিব খান।

অস্ট্রেলিয়ায় সুপার হিরোর শুটিং করছেন। এমনটা কি গল্পের প্রয়োজনে নাকি দৃশ্যের?
—দৃশ্যের জন্য অস্ট্রেলিয়া খুবই সুন্দর শুটিং লোকেশন। অনেক জায়গা রয়েছে যা এখনো বড় পর্দায় আসেনি। তবে সুপার হিরোর শুটিং অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে। গল্পটাই এমন যে, অস্ট্রেলিয়া লাগবেই।

ছবিটি নিয়ে কি আশা করছেন?
—হার্টবিট প্রোডাকশনের সঙ্গে আগেও অনেক কাজ করেছি। তাদের প্রায় প্রত্যেকটি ছবিই সুপার-ডুপার হিট। আর সুপার হিরোর পরিচালক আশিকুর রহমানও অসাধারণ কাজ করেন। ছবিটির গল্পও ভিন্ন ও চমৎকার। আগামী ঈদে দর্শকদের নতুন কিছু দিতে পারব বলেই আশা করছি।

ছবি শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া কেমন, আইনি জটিলতা কটটুকু?
—অস্ট্রেলিয়ায় খুব কম বলিউড, হলিউড কিংবা বাংলা ছবির কাজ হয়েছে। ভারতের সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং লোকেশন হলো ইউরোপ আর ইংল্যান্ড। তাই বিষয়টা অনেকটাই স্বাভাবিক না অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছে। শুরুর দিকে অনেক জটিলতাই হতে পারে। তবে আমি বলব অস্ট্রেলিয়া শুটিং লোকেশন হিসেবে খুবই অসাধারণ। অনেক অনেক দৃশ্য তুলে ধরার মতো আছে এখানে। আর এখানে ছবির শুটিং বেশি বেশি হলে এর সঙ্গে অনেকটাই নিয়মিত হবে এ দেশের সরকার। তখন জটিলতার বদলে দেখবেন উল্টো সহায়তা করছে।

সুপার হিরোর একটি দৃশ্য
সুপার হিরোর একটি দৃশ্য

পরিচালক শাকিব খান হচ্ছেন কবে?
—পরিচালনা নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই এখন। এর পেছনে এখনই সময়ই দিতে চাচ্ছি না। কারণ পরিচালনার দিকে গেলে চলচ্চিত্রে সময় দেওয়াটা একটু মুশকিল হয়ে যায়। আর এখন অনেকেই অনেক ভালো ভালো ছবি বানাতে চাচ্ছেন। তো এ নিয়েই আছি।

অভিনেত্রী শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় তার পরিবার নিয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় এসে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন?
—শাবনূর আর আমি সহকর্মীর পাশাপাশি খুব ভালো বন্ধুও। মাঝে মধ্যেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। দেশে থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার আসার নিমন্ত্রণ পেয়েছি। তবে এবার কাজের মধ্যে শাবনূরকে জানানোর সময় পাইনি। আর ভাগ্য দেখুন, শাবনূরও এখন অস্ট্রেলিয়ায় নেই, আছেন ঢাকায়।

দেশীয় চলচ্চিত্র অনেকটাই বিদেশমুখী হয়ে পড়ছে। আপনিও দেশের বাইরেই বেশি শুটিং করছেন। এমনটা কেন?
—সত্যিটা আসলে, আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন হাউসগুলো ভালো মানের ছবি নির্মাণে খানিকটা পিছিয়ে। ভালো মানের বলতে চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশলগত দিক থেকে। তাই বাংলাদেশে যারাই বড় বাজেটের কিংবা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান, তাদের বিদেশমুখী হতে হয়।

শুটিংগুলো কি ভারতেই বেশি হয়?
—আসলে শুধুমাত্র সহজলভ্যতার জন্যই অনেকে ভারতে শুটিং করেন। অনেকটা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় এমন। আমি নোলক ছবির অধিকাংশ শুটিংই করেছি ভারতের হায়দ্রাবাদে। আর এর কারণও ওই একটাই। তবে শুধু যে ভারতেই শুটিং হয় এমন না। আমার আরেকটি ছবির শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। এই যে এখন সুপার হিরোর শুটিং করছি অস্ট্রেলিয়ায়।
আমি সব সময়ই বলি, একজন বাণিজ্যিক অভিনেতা হিসেবে আমি আমার দেশের চলচ্চিত্রকে একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই বাণিজ্যিকভাবে। স্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় পার্শ্ববর্তী দেশের চলচ্চিত্র অনেক এগিয়ে, আমাদেরটা না কেন! আর সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আর সিনেমায় চাপাবাজির কোনো জায়গা নেই। ভালো মানের কাজ করতেই হবে।

তো সে লক্ষ্যের কত কাছে আমরা?
—আমাদের চলচ্চিত্র এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাচ্ছে। আমার ছবির কথা বললে, শিকারি কানাডায় মুক্তি পেয়েছে। বড় বড় হলিউডি ছবির সঙ্গে আমার ছবির পোস্টার ছিল। নবাব পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছিল ব্যবসাসফল, তেমনই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এ ছাড়া অনেকে ঢাকাই সিনেমাই সফলতা পাচ্ছে দেশের বাইরেও। তাই সেদিন বেশি দূরে নয় যে ঢাকাই ছবি মানেই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলবে।

কোন ধরনের সিনেমায় অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে?
—দর্শক বিনোদন পান এমন সিনেমায় আমি করতে চেষ্টা করি। দর্শক যতক্ষণ আমার সিনেমা দেখবেন ততক্ষণ আনন্দ পাবেন এমন সিনেমা। তবে একজন কমার্শিয়াল অভিনেতা হিসেবে কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করতেই বেশি ভালো লাগে। তবে এখন কমার্শিয়াল বা ব্যবসাসফল সিনেমার সংজ্ঞা পাল্টেছে। সিনেমা মানেই এখন মারামারি আর গানে ভর্তি এমন না। এমন কিছু ছাড়া শুধু ভালো গল্পের সিনেমাও এখন নির্মিত হচ্ছে। তবে পুরোনো সম্পর্কের টানে মাঝে মাঝে অনুরোধের ঢেঁকিও গিলতে হয়। সে ধরনের সিনেমাগুলো নিয়ে খুব বেশি কিছু আশা করি না।

সুপার হিরোর একটি দৃশ্য
সুপার হিরোর একটি দৃশ্য

সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছিলেন, তারপরও কাজ করে যাচ্ছেন?
—বিগত মাসগুলোতে এত বেশি হাওয়া বদল হয়েছে যে শরীর আর সঙ্গ দিতে পারেনি। এই ঠান্ডার দেশে, এই গরমের দেশে এই করে করে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তবে কাজ নিয়ে আমার কোনো আপস নেই। বছরে ৩৬৫ দিনই কাজে থাকতে রাজি আমি। কিন্তু সেটা ভালো মানের কাজ করতে। পরিকল্পনা করছি কম ছবি করব কিন্তু ভালো মানের। এখন হাতে যেই কাজ আছে সেগুলো গুটিয়েই নতুন ভাবে কাজের পরিকল্পনা করব।

বলছিলেন বাংলাদেশেও পরিবর্তন আসছে চলচ্চিত্র শিল্পে?
—কথায় আছে, যে দেশ গুণীর কদর করে না, সে দেশে গুণী জন্মায় না। সত্য শুনে নিজের কাছে খারাপ লাগলেও বাংলাদেশে এ প্রবাদের প্রমাণ ষোলো আনায় সত্য। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সুস্থ শিল্পচর্চার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। আর এর জন্য শিল্পীগোষ্ঠীদের যেমন কাজ করতে হবে তেমনই সহায়তা প্রয়োজন সাধারণ মানুষদের, প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের।

দূর পরবাস ৭/ অস্ট্রেলিয়া দূর পরবাস ট্যাগছবি ৭ সাকিব খানছবি ৭–১, ৭–২ ও ৭–৩ সুপার হিরোর একটি দৃশ্য
সিনেমায় চাপাবাজির কোনো জায়গা নেইশুটিংয়ের ফাঁকে শাকিব খানের আলাপচারিতাকাউসার খান, সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) থেকে
অস্ট্রেলিয়ায় চলছে হার্টবিট প্রোডাকশনের প্রযোজনার নতুন ছবি সুপার হিরো ছবির কাজ। ছবির প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। তরুণ নির্মাতা আশিকুর রহমানের পরিচালনায় শাকিব খানের বিপরীতে ছবিতে রয়েছেন শবনম বুবলি। শুটিংয়ের ফাঁকে চলচ্চিত্রের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন শাকিব খান।
অস্ট্রেলিয়ায় সুপার হিরোর শুটিং করছেন। এমনটা কি গল্পের প্রয়োজনে নাকি দৃশ্যের?—দৃশ্যের জন্য অস্ট্রেলিয়া খুবই সুন্দর শুটিং লোকেশন। অনেক জায়গা রয়েছে যা এখনো বড় পর্দায় আসেনি। তবে সুপার হিরোর শুটিং অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে। গল্পটাই এমন যে, অস্ট্রেলিয়া লাগবেই।
ছবিটি নিয়ে কি আশা করছেন?—হার্টবিট প্রোডাকশনের সঙ্গে আগেও অনেক কাজ করেছি। তাদের প্রায় প্রত্যেকটি ছবিই সুপার-ডুপার হিট। আর সুপার হিরোর পরিচালক আশিকুর রহমানও অসাধারণ কাজ করেন। ছবিটির গল্পও ভিন্ন ও চমৎকার। আগামী ঈদে দর্শকদের নতুন কিছু দিতে পারব বলেই আশা করছি।
ছবি শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া কেমন, আইনি জটিলতা কটটুকু?—অস্ট্রেলিয়ায় খুব কম বলিউড, হলিউড কিংবা বাংলা ছবির কাজ হয়েছে। ভারতের সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং লোকেশন হলো ইউরোপ আর ইংল্যান্ড। তাই বিষয়টা অনেকটাই স্বাভাবিক না অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছে। শুরুর দিকে অনেক জটিলতাই হতে পারে। তবে আমি বলব অস্ট্রেলিয়া শুটিং লোকেশন হিসেবে খুবই অসাধারণ। অনেক অনেক দৃশ্য তুলে ধরার মতো আছে এখানে। আর এখানে ছবির শুটিং বেশি বেশি হলে এর সঙ্গে অনেকটাই নিয়মিত হবে এ দেশের সরকার। তখন জটিলতার বদলে দেখবেন উল্টো সহায়তা করছে।
পরিচালক শাকিব খান হচ্ছেন কবে?—পরিচালনা নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই এখন। এর পেছনে এখনই সময়ই দিতে চাচ্ছি না। কারণ পরিচালনার দিকে গেলে চলচ্চিত্রে সময় দেওয়াটা একটু মুশকিল হয়ে যায়। আর এখন অনেকেই অনেক ভালো ভালো ছবি বানাতে চাচ্ছেন। তো এ নিয়েই আছি।
অভিনেত্রী শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় তার পরিবার নিয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় এসে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন?—শাবনূর আর আমি সহকর্মীর পাশাপাশি খুব ভালো বন্ধুও। মাঝে মধ্যেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। দেশে থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার আসার নিমন্ত্রণ পেয়েছি। তবে এবার কাজের মধ্যে শাবনূরকে জানানোর সময় পাইনি। আর ভাগ্য দেখুন, শাবনূরও এখন অস্ট্রেলিয়ায় নেই, আছেন ঢাকায়।
দেশীয় চলচ্চিত্র অনেকটাই বিদেশমুখী হয়ে পড়ছে। আপনিও দেশের বাইরেই বেশি শুটিং করছেন। এমনটা কেন?—সত্যিটা আসলে, আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন হাউসগুলো ভালো মানের ছবি নির্মাণে খানিকটা পিছিয়ে। ভালো মানের বলতে চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশলগত দিক থেকে। তাই বাংলাদেশে যারাই বড় বাজেটের কিংবা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান, তাদের বিদেশমুখী হতে হয়।

সুপার হিরোর একটি দৃশ্য
সুপার হিরোর একটি দৃশ্য

শুটিংগুলো কি ভারতেই বেশি হয়?—আসলে শুধুমাত্র সহজলভ্যতার জন্যই অনেকে ভারতে শুটিং করেন। অনেকটা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় এমন। আমি নোলক ছবির অধিকাংশ শুটিংই করেছি ভারতের হায়দ্রাবাদে। আর এর কারণও ওই একটাই। তবে শুধু যে ভারতেই শুটিং হয় এমন না। আমার আরেকটি ছবির শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। এই যে এখন সুপার হিরোর শুটিং করছি অস্ট্রেলিয়ায়।আমি সব সময়ই বলি, একজন বাণিজ্যিক অভিনেতা হিসেবে আমি আমার দেশের চলচ্চিত্রকে একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই বাণিজ্যিকভাবে। স্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় পার্শ্ববর্তী দেশের চলচ্চিত্র অনেক এগিয়ে, আমাদেরটা না কেন! আর সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আর সিনেমায় চাপাবাজির কোনো জায়গা নেই। ভালো মানের কাজ করতেই হবে।
তো সে লক্ষ্যের কত কাছে আমরা?—আমাদের চলচ্চিত্র এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাচ্ছে। আমার ছবির কথা বললে, শিকারি কানাডায় মুক্তি পেয়েছে। বড় বড় হলিউডি ছবির সঙ্গে আমার ছবির পোস্টার ছিল। নবাব পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছিল ব্যবসাসফল, তেমনই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এ ছাড়া অনেকে ঢাকাই সিনেমাই সফলতা পাচ্ছে দেশের বাইরেও। তাই সেদিন বেশি দূরে নয় যে ঢাকাই ছবি মানেই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলবে।
কোন ধরনের সিনেমায় অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে?—দর্শক বিনোদন পান এমন সিনেমায় আমি করতে চেষ্টা করি। দর্শক যতক্ষণ আমার সিনেমা দেখবেন ততক্ষণ আনন্দ পাবেন এমন সিনেমা। তবে একজন কমার্শিয়াল অভিনেতা হিসেবে কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করতেই বেশি ভালো লাগে। তবে এখন কমার্শিয়াল বা ব্যবসাসফল সিনেমার সংজ্ঞা পাল্টেছে। সিনেমা মানেই এখন মারামারি আর গানে ভর্তি এমন না। এমন কিছু ছাড়া শুধু ভালো গল্পের সিনেমাও এখন নির্মিত হচ্ছে। তবে পুরোনো সম্পর্কের টানে মাঝে মাঝে অনুরোধের ঢেঁকিও গিলতে হয়। সে ধরনের সিনেমাগুলো নিয়ে খুব বেশি কিছু আশা করি না।
সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছিলেন, তারপরও কাজ করে যাচ্ছেন?—বিগত মাসগুলোতে এত বেশি হাওয়া বদল হয়েছে যে শরীর আর সঙ্গ দিতে পারেনি। এই ঠান্ডার দেশে, এই গরমের দেশে এই করে করে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তবে কাজ নিয়ে আমার কোনো আপস নেই। বছরে ৩৬৫ দিনই কাজে থাকতে রাজি আমি। কিন্তু সেটা ভালো মানের কাজ করতে। পরিকল্পনা করছি কম ছবি করব কিন্তু ভালো মানের। এখন হাতে যেই কাজ আছে সেগুলো গুটিয়েই নতুন ভাবে কাজের পরিকল্পনা করব।
বলছিলেন বাংলাদেশেও পরিবর্তন আসছে চলচ্চিত্র শিল্পে?—কথায় আছে, যে দেশ গুণীর কদর করে না, সে দেশে গুণী জন্মায় না। সত্য শুনে নিজের কাছে খারাপ লাগলেও বাংলাদেশে এ প্রবাদের প্রমাণ ষোলো আনায় সত্য। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সুস্থ শিল্পচর্চার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। আর এর জন্য শিল্পীগোষ্ঠীদের যেমন কাজ করতে হবে তেমনই সহায়তা প্রয়োজন সাধারণ মানুষদের, প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের।