সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। পতাকা অর্ধনমিতকরণের পর তিনি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

আলোচনা
আলোচনা

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর ভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় হাইকমিশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তৃতায় মহান ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

তিনি ভাষা আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাঁকে বাঙালি জাতির অধিকার আদায় ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাষা আন্দোলন, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আরও অধিকতর মাতৃভাষার চর্চা ও দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

এই পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান, গীতি-আলেখ্য, কবিতা আবৃত্তি এবং শিশুদের অভিনয়ে ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে নাটিকা দর্শক-শ্রোতারা আনন্দচিত্তে উপভোগ করেন। বিজ্ঞপ্তি