অভিবাসনের জন্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শহীদুল হক
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শহীদুল হক

বাংলাদেশ পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে অভিবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন কাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই সেমিনার নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের (আইএসএস) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। হেগভিত্তিক কূটনৈতিক কোরের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন, একাডেমিয়া, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিনিধি, প্রবাসী কমিউনিটি এই সেমিনারে অংশ অংশগ্রহণ করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শহীদুল হক
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শহীদুল হক

মো. শহীদুল হক তার মূল প্রবন্ধে অভিবাসন প্রক্রিয়ার জটিলতা, অভিবাসনের কারণ, সমসাময়িক অভিবাসন সংক্রান্ত আলোচ্য বিষয়াদি, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসমূহের চ্যালেঞ্জ, ২০১৬ সালের নিউইয়র্ক ঘোষণার আলোকে অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট, অভিবাসন কমপ্যাক্টের খসড়া এবং সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
মো. শহীদুল হক বাংলাদেশকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে উৎস, ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে আগত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের মানবিক প্রতিক্রিয়ার উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে, তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নির্মম নির্যাতন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সহিংসতা, ধর্ষণ, অমানবিক অত্যাচার ও অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে যে মানবতা বিরোধী অপরাধ বিরাজমান সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ন্যায়বিচারের সপক্ষে সোচ্চার অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি এশিয়া ও ইউরোপে বর্তমান ও ভবিষ্যতের অভিবাসন প্রবণতা এবং পারস্পরিক উন্নয়নের প্রয়োজনে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আইনগত বাধ্যবাধকতা সংবলিত কোনো কনভেনশন না প্রণয়ন করা হলেও বিশ্বব্যাপী অভিবাসন প্রক্রিয়ার জন্য একটি মিশ্র কাঠামো প্রণয়নের পরামর্শ প্রদান করেন।

উপস্থিতি
উপস্থিতি

পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অভিবাসন, দক্ষ বনাম সাধারণ অভিবাসন, ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা, আন্তর্জাতিক অভিবাসনের সমসাময়িক পদক্ষেপ ইত্যাদিসহ বিস্তারিত বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আইএসএস-এর ভারপ্রাপ্ত রেক্টর ও অধ্যাপক ডেস খেসপারও বক্তৃতা প্রদান করেন। তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসনের আলোচনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন এবং গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন ও ২০১৬ সালের জন্য গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বিজ্ঞপ্তি