বিনম্র শ্রদ্ধায় থাইল্যান্ডে মহান শহীদ দিবস

বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনীম
বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনীম

ইউনেসকোর আঞ্চলিক অফিস ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে থাইল্যান্ডে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ইউনেসকোর অফিস প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থাইল্যান্ডের ইউনেসকো কমিশনের মহাসচিব ড. ওয়াটানাপর্ন রানুবটুক। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনেসকো পরিচালক মাকি হায়াশিকাওয়া। আলোচনা করেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সিল ইন্টারন্যাশনালের গবেষক ড. কির্ক পারসন ও তাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ক্রিইংকরাই ওয়াতানাসাওয়াড। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ইশতিয়াক আহমেদ।

বক্তব্য দিচ্ছেন মাকি হায়াশিকাওয়া
বক্তব্য দিচ্ছেন মাকি হায়াশিকাওয়া

রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত মুনা ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করার জন্য ইউনেসকোসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা


মাকি হায়াশিকাওয়া তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতির পেছনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ড, ভারত, কলম্বিয়া, রাশিয়া, মেক্সিকো, চীন, কাজাখস্তান, বেলজিয়াম ও সুদানের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী কর্তৃক পরিবেশিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, রাশিয়ার শিশু কিশোরদের পরিবেশনা ‘কাতিউশা’, কলম্বিয়ার শিল্পী জোর স্প্যানিশ সংগীত সকলের প্রশংসা কুড়ায়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা


অনুষ্ঠানে রাশিয়া, পেরু, কাজাখস্তান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পর্তুগাল, নাইজেরিয়া ও পানামা প্রভৃতি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন কমিউনিটির দুই শ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি