অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৭ মার্চ উদ্যাপন

বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান

জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ঐতিহাসিক এই দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষে গত বুধবার (৭ মার্চ) হাইকমিশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের রুহের মাগফিরাত কামনার পর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মোহাম্মদ শাকিল মাহমুদ ও প্রথম সচিব অপর্ণা পাল।
আলোচনার শুরুতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রামাণ্য তাৎপর্য পর্যালোচনা করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক নীপা ব্যানার্জি, রাশেদা নেওয়াজ, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, শিকদার মতিউর রহমান, মনজুর চৌধুরী, কবির চৌধুরী, হারুন উর রশিদ, সাবের নেওয়াজ, বায়তুল ইসলাম ও শরিফ চৌধুরী প্রমুখ। তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এই দিবসটি সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এরপর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (কনস্যুলার) সাখাওয়াত হোসেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মিজানুর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল অর্জন বলে অভিহিত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উল্লেখিত দিক নির্দেশনার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি তার বক্তব্যে এই ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এই কালজয়ী ভাষণে সাড়া দিয়ে বাংলার লাখো জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বিজয় ছিনিয়ে আনেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ফলে এই ভাষণ এখন সারা বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ফারহানা আহমেদ চৌধুরী।
শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত চা-চক্রে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি