হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজে শিশু রাজু

রাজেশ বড়ুয়ার সমাধি
রাজেশ বড়ুয়ার সমাধি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি রাজু মাত্র চার মাস বাবার সান্নিধ্য পেয়েছিল। তার বাবা রাজেশ বড়ুয়া। চট্টগ্রামের রাজেশ বড়ুয়া ১৯৯৩ সালে জাপানে আসেন। ভাষা শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা শেষে জাপানের এনআইটিতে কর্মরত ছিলেন।

গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজেশ বড়ুয়া অসুস্থ হলে তাঁকে বাসার কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে অবচেতন অবস্থায় দীর্ঘ ১৭ দিন আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় ১ মার্চ (২০১৭) রাত ৯টা ১০ মিনিটে তিনি জাপানি স্ত্রী ওনো মিগুমি ও চার মাসের একমাত্র পুত্র সন্তান রাজু বড়ুয়াকে রেখে পরলোকে চলে যান। টোকিওর গোতানদার কিরিগাওয়া সাইজোতে স্ত্রী-সন্তান, স্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন জাপানপ্রবাসীর উপস্থিতিতে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় তাঁর সৎকার সম্পন্ন করা হয়।

বাবার সমাধিতে রাজু
বাবার সমাধিতে রাজু

গত ১ মার্চ রাজেশ বড়ুয়ার অকালপ্রয়াণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। মৃত্যুর পর তার শেষ ঠিকানা হয়েছে জাপানেই। ফুজি পাহাড়ের পাদদেশে সিজোওকা জেলার হামামাৎসু শহরের ওহাকায় (সমাধিক্ষেত্র) তার দেহাংশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাঁর সমাধির এক পাশে পাথরে শোভিত রয়েছে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।
হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজে মা ও নানার সঙ্গে রাজু গত ১ মার্চ গিয়েছিল তার বাবার সমাধিতে। সমাধির পাথরে বাংলাদেশের পতাকা কালের সাক্ষী হিসেবে রাজুর জাপানি পরিচয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশি পিতার সন্তান বলে জানান দিচ্ছে।

কাজী ইনসানুল হক: টোকিও, জাপান।