টরন্টোয় বায়েসের ক্যানসার প্রতিরোধবিষয়ক কর্মশালা

কর্মশালার দৃশ্য
কর্মশালার দৃশ্য

আমানুল্লাহ সাহেব কানাডায় আসেন প্রায় চল্লিশ বছর আগে। টরন্টোতে বাংলাদেশির সংখ্যা তখন এক শর বেশি হবে না। এখন কানাডায় প্রায় এক লাখের মতো বাংলাদেশি। বিপুলসংখ্যক বাঙালির আগমনে আপ্লুত তিনি। আরেকজনের হাত ধরে গত মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) এসেছিলেন বায়েস আয়োজিত কর্মশালায়। তিনি বলেন, টরন্টোর বাংলা পত্রিকায় দেখি আপনাদের খবর। কয়েক দিন আগে একটা খবর দেখেছি। আপনারা বলেছিলেন, মানসিক সমস্যার সমাধান ভালোবাসায়। কথাটা শতভাগ সত্যি। তাই আপনাদের দেখতে এলাম।

শুধু আমানুল্লাহ সাহেব নয়, বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত কর্মশালায় দূর দুরান্ত থেকে এসেছিলেন অনেকেই। যেমন ব্রাম্পটন থেকে এসেছিলেন রুপা আর মার্কহাম থেকে ওমর। ক্যানসার প্রতিরোধবিষয়ক এই কর্মশালাটি ওই দিন অনুষ্ঠিত হয় স্কারবোরোর ৩৭৫০ সেন্টক্লেয়ার অ্যাভিনিউ ইস্টের এ ই একাডেমি মিলনায়তনে। এতে অত্যন্ত তথ্যমূলক ও প্রাণবন্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ও এ ই একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মাহমুদ।
তিনি বলেন, যেকোনো বয়সে মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। বংশগত কারণে যেমন ক্যানসার হতে পারে, তেমনি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন কারণেও ক্যানসারের সূত্রপাত হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার শুরুতে নির্ণয় করতে পারলে ক্যানসার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অত্যধিক চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিহার, শারীরিক পরিচর্চা, অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা, শাক সবজি ও ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
ক্যানসার বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বাড়াতে বায়েস এই কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে কানাডা থেকে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করা হয় বায়েসের পক্ষ থেকে। বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন বলেন, প্রবাসে বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কমিউনিটির উন্নয়নে বিভিন্ন পত্রিকা, রেডিও-টিভিগুলো যে অব্যাহত ভূমিকা পালন করছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কানাডায় বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো শুধু প্রবাসে বাংলাদেশকেই প্রতিনিধিত্ব করছে না, এখানকার নবপ্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষাকেও জনপ্রিয় করে তুলছে। বিজ্ঞপ্তি