আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস

বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা
বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস রাজধানী আঙ্কারায় দুটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ বছর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ এবং į‘কক্সবাজার: বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী’।

প্রতিযোগিতায় আঙ্কারার ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ড. রাশিদ গালিব লিকোগ্রিটিম স্কুলে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে থেকে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। গতকাল শুক্রবার (১৬ মার্চ) ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। ড. রাশিদ গালিব লিকোগ্রিটিম স্কুলের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মারক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে আগামী মঙ্গলবার (২০ মার্চ)।

ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা
ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণসহ বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানকে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে বলেন, বিভিন্ন দেশের শিশুদের অংশগ্রহণে এ ধরনের অনুষ্ঠান একদিকে যেমন তাদের অন্য দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে তেমনি ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতি সহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন প্রত্যেক জাতিরই রয়েছে মহান জাতীয় ব্যক্তিত্ব। তারা মানবজাতির পথ প্রদর্শক। তাদের কর্মমুখর জীবন আমাদের এ পৃথিবীকে শান্তি ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।
এ ছাড়া আজ (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা শুরুতেই সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী ও প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কেক কাটার দৃশ্য
বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কেক কাটার দৃশ্য

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে, আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।
শেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি