টোকিওতে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

শিশুকিশোরদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাবাব ফাতিমা
শিশুকিশোরদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাবাব ফাতিমা

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা এবং প্রাণবন্ত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন করেছে জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে দূতাবাসে এক বর্ণিল শিশু মেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে আগত অতিথিদের শোনানো হয়।

শিশুকিশোর ও ছোট সোনামণিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত
শিশুকিশোর ও ছোট সোনামণিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম, ত্যাগ ও কর্মজীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিত। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ও প্রত্যয়ী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার ও পরবর্তীতে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
পরে রাষ্ট্রদূত আগত সকল শিশুকিশোর ও ছোট সোনামণিদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শিশুকিশোর ও ছোট সোনামণিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটার দৃশ্য
শিশুকিশোর ও ছোট সোনামণিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটার দৃশ্য

জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রতিযোগিতা’ ছিল শিশু মেলার অন্যতম আয়োজন। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করে। বর্ণিল সাজে শিশুরা অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা
বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা

টোকিও ও আশপাশের অঞ্চল থেকে আগত প্রবাসী ও তাঁদের সন্তানদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মুখর ও প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিল দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন। জাপানে বসবাসরত শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজনটি প্রাণের মেলা হয়ে উঠেছিল। সেখানে গভীর শ্রদ্ধা ও পরম মমতায় তারা স্মরণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, শিক্ষা নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া সকল শিশুকেই উপহার প্রদান করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে আরও আনন্দময় করতে আগত শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন। সবশেষে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।
দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সপরিবার ও অনেক প্রবাসী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি