ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্‌যাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। আজ শনিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনার পর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনাপর্বে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা জাতির জনকের জীবনের নানা দিকের ওপর আলোকপাত করেন এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন সুফিউর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন সুফিউর রহমান

অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে সকল ভাষা শহীদ, ভাষা সংগ্রামী ও স্বাধীনতা যোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় যুগপৎ নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দেশপ্রেম ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান এবং তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার দৃশ্য
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার দৃশ্য

উন্নতির অগ্রধারায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম, সামাজিকভাবে সুঠাম ও রাজনৈতিকভাবে প্রগতিশীল এক বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার নিরলস সংগ্রামে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ’ বিষয়ের ওপর কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের বিপুল উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে হাইকমিশনার উপস্থিত সব শিশু-কিশোরদের শুভেচ্ছা উপহার দেয়।