ইসলামাবাদে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস গতকাল (শনিবার ১৭ মার্চ) যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মর্যাদার সঙ্গে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে উদ্‌যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গণ রঙিন বেলুন ও অন্যান্য ঝলমলে সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়।

শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটার দৃশ্য
শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটার দৃশ্য

দুপুরে চ্যান্সারিতে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। পরে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবার ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরেরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শিশুরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে হাইকমিশনার শিশুসহ সকলকে সঙ্গে নিয়ে জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন তারিক আহসান

এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার তারিক আহসান জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিশুদের জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা জানান। বঙ্গবন্ধুর শৈশবকালের কিছু ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ চারিত্রিক গুণাবলি বিশেষত তাঁর সাহস, সহমর্মিতা, আত্মমর্যাদাবোধ, দৃঢ়সংকল্পবদ্ধতা, বিচক্ষণতা, সরলতা ও সততার কথা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রূপকল্প ২০৪১-এর আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নৃত্য পরিবেশন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নৃত্য পরিবেশন

আলোচনার পর বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকালে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশি শিশুরা হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ’ বিষয়ে রচনা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি এবং দেশাত্মবোধক নৃত্য পরিবেশন করে। হাইকমিশনার ও তাঁর পত্নী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরেরা
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরেরা

পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।