জেনেভায় শিশুদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

বক্তব্য দিচ্ছেন এম শামীম আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন এম শামীম আহসান

শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান গত শনিবার (১৭ মার্চ) প্রবাসী শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পরে শোনানো হয়। বাণী পাঠ করেন ইকোনমিক মিনিস্টার সুপ্রিয় কুমার কুণ্ডু, কাউন্সেলর তৌফিক ইসলাম শাতিল, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত দুটি কবিতা পাঠ করে শোনান কাউন্সেলর রবিউল ইসলাম ও প্রথম সচিব ওয়াদুদ আকন্দ। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন আবু বকর মোল্লা। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা খায়রুল আমিন।

পুরস্কার বিতরণী
পুরস্কার বিতরণী

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক মনোবল, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ দীপ্ত লয়ে মাথা উঁচু করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় জাতিসংঘের স্বীকৃতির বিষয়টি তিনি গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়ে তুলতে সকলকে একতাবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে প্রবাসী শিশু কিশোরদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুরা
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুরা

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এম শামীম আহসান। উন্মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী বাঙালিরাও অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ক্যান্টন থেকে আগত বাঙালিদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের ভিন্নমাত্রা যোগ করে।

উপস্থিতি
উপস্থিতি

রাওদাতুল জান্নাত: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।