টরন্টোয় বাংলাদেশি প্রবীণদের জন্য প্রয়োজন নিজস্ব বৃদ্ধাশ্রম

কর্মশালার দৃশ্য
কর্মশালার দৃশ্য

কানাডার টরন্টোয় বাংলাদেশি প্রবীণদের জন্য প্রয়োজন অন্তত একটি নিজস্ব সিনিয়র হোম বা বৃদ্ধাশ্রম। শারীরিক অক্ষমতা, বয়স ও পারিবারিক কারণে অনেক প্রবীণ বাঙালির এখানে এখন দিন কাটে নিঃসঙ্গতায়। আর বর্তমানে টরন্টোতে যেসব বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে সেগুলোও ধর্মীয়, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক কারণে বাঙালি প্রবীণদের থাকার জন্য খুব একটা অনুকূলে নয়। বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন বক্তব্যই উঠে আসে। প্রবীণদের স্বাস্থ্য সমস্যা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত এক কর্মশালায় এ বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত শনিবার (১৭ মার্চ) টরন্টোর ডেনফোর্থে বায়েসের অফিসে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ২৯ জন প্রবীণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ফাহমিদা নাহিদ। প্রবীণরা যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগেন সে সম্পর্কে তিনি তাঁর উপস্থাপনায় আলোকপাত করেন। একই সঙ্গে কীভাবে ও কোথায় এর প্রতিকার পাওয়া যাবে, প্রবীণদের জন্য কানাডায় কী কী সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তুলে ধরেন ডা. ফাহমিদা।

কর্মশালার দৃশ্য
কর্মশালার দৃশ্য

আলোচকেরা বলেন, কানাডায় বাংলাদেশি প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন সমস্যাও। প্রবাসে প্রবীণদের সমস্যা বহুমাত্রিক। তারা মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক এমনকি আরও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। যেমন শারীরিক অসামর্থ্য, অসহায়ত্ব, পরনির্ভরশীলতা, অদৃষ্টের ওপর সমর্পণতা ও অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা। এগুলোর কারণে অনেকে মানসিক যন্ত্রণা থেকে শুরু করে নিজেকে অবাঞ্ছিত, পরিবারের বা সমাজের বোঝা মনে করেন। অনেক প্রবীণই বিষণ্নতায় ভোগেন। আর বয়স বৃদ্ধির কারণে রোগব্যাধি তো বাড়েই। প্রবীণ বয়সে চাকরি করেও সংসার চালাতে হয় অনেককেই।
প্রবীণ বা বয়স্ক এই সম্মানিত ব্যক্তিরা প্রবাসে শুধু দেশের স্মৃতিকেই বহন করছেন না অনেকে প্রিয়জনের সান্নিধ্য থেকেও বঞ্চিত। পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা বা নিঃসঙ্গতার কারণে যদি বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেই হয় তবে তা হতে হবে বাঙালি সংস্কৃতির আদলেই নিজস্ব বৃদ্ধাশ্রম। বিজ্ঞপ্তি