বঙ্গবন্ধু জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করেন
বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রখর স্মৃতিশক্তি, মেধা, দূরদৃষ্টি, সম্মোহনী নেতৃত্ব এবং সর্বোপরি অপরিসীম দেশপ্রেমের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় এ সব কথা বলেন বক্তারা।
গত শনিবার (১৭ মার্চ) দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্যাপন করেছে। প্রবাসী বাংলাদেশি ও শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণে দূতাবাস চত্বরে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দিবসটি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দিবসের মূল অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল কোরআন তিলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও নৈশভোজ।
আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আরও বলেন, বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক, দয়ালু ও পরোপকারী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। তাদের বক্তব্যে শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধের বিষয়টিও যথাযথ গুরুত্ব পায়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা ছোট্ট শিশুটি কীভাবে বঙ্গবন্ধু হয়ে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন তা ফুটে ওঠে।
সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি দেশের পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর বিরল নেতৃত্বসুলভ উপস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসকে যথার্থভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে সাধুবাদ জানান। তিনি শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অধিকতর জানতে এবং তাঁর জীবন, আদর্শ ও দেশপ্রেমকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ ছাড়া আগত সকল শিশুকেই শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। বিজ্ঞপ্তি