বঙ্গবন্ধুর জন্মই হয়েছিল নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার দৃশ্য
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার দৃশ্য

বঙ্গবন্ধুর বিশাল হৃদয় ও গুণাবলির প্রকাশ বাল্যকাল থেকেই ঘটেছিল। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আমরা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালির নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নিপীড়ন-নির্যাতিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর জন্মই হয়েছিল নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পাকিস্তানের করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নূরে বেলাল সাইফুর রহমান তাঁর বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে মমত্ববোধ তার তুলনা মেলা ভার। শিশু-কিশোররা যাতে করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে সে জন্যই সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশুদিবস ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে উপস্থিত সবাইকে তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুশীলনের জন্য আহ্বান জানান।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

করাচিতে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্‌যাপন করেছে। করাচির বাংলাদেশ হাউসে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বাণী পাঠ, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা ও নৈশভোজ। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, করাচির বাংলাদেশিরা ও তাদের পরিবারবের সদস্য এবং অনেক পাকিস্তানি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণ
পুরস্কার বিতরণ

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবের সদস্যদের কল্যাণ এবং দেশ-জাতির সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপহাইকমিশনার নূরে হেলাল সাইফুল রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ পদককে ভূষিত কাজী ফয়েজ মোহাম্মদের পুত্র অ্যাডভোকেট জাভেদ কাজী। এরপর উপস্থিত শিশু-কিশোরেরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনানো হয়। আলোচকেরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় অতিথিদের মধ্যে অ্যাডভোকেট জাভেদ কাজী, যাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন, শিশুকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, পাকিস্তানের একজন এত বড় নেতা হওয়ার পরেও শিশুদের জন্য তার মমত্বের কোনো কমতি ছিল না। তিনি দুঃখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বড় মাপের নেতাকে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিরা চিনতে ও সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
পরে তিনি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে উপহাইকমিশনার পুরস্কৃত করেন। শেষে উপস্থিত সবাই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি