একজন সত্যিকারের নেতা আপস করেন না
একজন সত্যিকারের নেতা ব্যক্তিগত প্রাপ্তির আশায় কখনোই তাঁর জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আপস করেন না এবং জীবনের বিনিময়ে হলেও জনগণের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিব ছিলেন তেমনই একজন অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্বের ইতিহাসে নিপীড়িত মানুষের নেতা হিসেবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ইস্তাম্বুলের কোচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমি আইল তাঁর বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলি ও তাঁর ওপর স্বরচিত শিশুতোষ কবিতাও আবৃত্তি করেন। ড. নাজমি আইল একজন গবেষক, কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে তুরস্কে অত্যন্ত সুপরিচিত।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত সোমবার (১৯ মার্চ) ইস্তাম্বুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে স্কুলের মিলনায়তনে একটি বর্ণিল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ইস্তাম্বুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে বর্তমানে ৪৮টি দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন, তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর একটি আলোচনা সভা আয়োজন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন স্কুলের অধ্যক্ষ তিজেন চেলিক ও ড. নাজমি আইল।
সভাপতির বক্তব্যে ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনে, জাতি বিনির্মাণে ও সদ্য স্বাধীন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাননি বরং বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন আজন্ম সোচ্চার। মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্যসমূহ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকার উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকলের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কাটা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি মিষ্টি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৭ মার্চ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি