অটোয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্যাপন করেছে। দুই পর্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। বয়সভিত্তিক দুটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে শিশু কিশোরেরা ক্যানভাসে রং-তুলি দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ’ শীর্ষক বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলে। এ ছাড়া, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ বিষয়বস্তুর ওপর রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মারুফ হাসান সাকি, মৈত্রী ইলিয়াস, মর্ম ইলিয়াস, উমায়মা আহমেদ, জুবায়দা যারা, মানহা মহসিন, মেহরাজ ফেরদৌস টোকি, সারাহ মাহমুদ, নাজিফ শাফি, নুসাইবা শাফি, লাবিবা তানাসসুম ও আরিব সাইফুদ্দীন।
দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর সাখাওয়াত হোসেন, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া ও প্রথম সচিব, মো. শাকিল মাহমুদ। বাণী পাঠের পর হাইকমিশনার উপস্থিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে সাইদ ইসলাম, হারুন রশিদ, কবির চৌধুরী, সিকদার মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, রাশেদা নেওয়াজ ও ড. মঞ্জুর চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে জাতি গঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর বিরল মানবিক গুণাবলির আলোকে শিশু কিশোরদের জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের প্রাক্কালে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানের ঘোষণাকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উপহার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবসের আনন্দঘন মুহূর্তে সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের আলোকে এবং প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা হাইকমিশন আয়োজিত চাচক্রে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি