রিয়াদে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মসীহ

সৌদি আরবের রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রবাসজীবনের নানা ব্যস্ততা সত্ত্বেও স্থানীয় অভিবাসী বাংলাদেশিরা উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনার শুরুতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন
দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ তার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদদের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সেদিন সারা দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা।
গোলাম মসীহ বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি সকল প্রবাসী নাগরিককে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতির একাংশ
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতির একাংশ

আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি