টোকিওতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা

জাপানের রাজধানী টোকিওতে যথাযথ মর্যাদা ও নানা আয়োজনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। আজ সোমবার দিবসের প্রথমভাগে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। পরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

পরে টোকিওর এক হোটেলে দিবসটি উপলক্ষে জাপানের উচ্চপর্যায়ের নেতা, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কাজুইকি নাকানে। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের মহাসচিব ও ইচিরো সুকুদা এমপি। রাষ্ট্রদূত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে।

কেক কেটে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
কেক কেটে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও অর্জন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
কাজুইকি নাকানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক মোবারক ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাপান-বাংলাদেশের ৪৫ বছরের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরও গভীর হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা
বক্তব্য দিচ্ছেন রাবাব ফাতিমা

ইচিরো সুকুদা জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের সভাপতি তারো আসোর শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান।
আগত অতিথিদের বাংলাদেশি বিভিন্ন রকমের উপহার প্রদান এবং খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পৃথক একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীতের পর কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আনন্দঘন পরিবেশে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
এ ছাড়া জাপানের স্থানীয় পত্রিকায় দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি